Tag: প্রাণ

মনসান্তো ট্রাইবুনাল: গণআদালতে প্রাণ ও প্রকৃতি হত্যাকারীর বিচার
নয়াকৃষি প্রাণসম্পদ ব্যবস্থাপনা, পরিবেশ ও প্রাণবৈচিত্র

মনসান্তো ট্রাইবুনাল: গণআদালতে প্রাণ ও প্রকৃতি হত্যাকারীর বিচার

নয়াকৃষি আন্দোলন || Monday 24 April 2017 বহুজাতিক কম্পানির প্রাণ বিনাশী ভূমিকা একালে মানুষসহ সকল প্রাণের চরম হুমকি হয়ে দাঁড়িয়েছে গুটিকয়েক বহুজাতিক কর্পোরেশান। তাদের বিষ, রাসায়নিক দ্রব্য ও নানান ক্ষতিকর পণ্য উৎপাদন ও ব্যবহার প্রকৃতি ও পরিবেশ ধ্বংস করছে। প্রকৃতি ও পরিবেশ তারা বিষাক্ত করে তুলছে। প্রাণ আজ সর্বত্রই বিপন্ন। আগে তাদের প্রধান ব্যবসা ছিল ক্ষতিকর রাসায়নিক পদার্থ এবং বিশেষ ভাবে কীটনাশক বা বিষ বেচা। এখন তারা বীজের ব্যবসা ও কৃষিতে ঢুকেছে। সারা দুনিয়ার খাদ্য ব্যবস্থা তারা নিজেদের নিয়ন্ত্রণে নেবার জন্য উন্মাদ হয়ে উঠেছে। মানুষ না খেয়ে বাঁচতে পারবে না। খাদ্য ব্যবস্থা – অর্থাৎ উৎপাদন থেকে শুরু করে বিপণণ ও ভোগের প্রতিটি চক্রের ওপর তারা তাদের একচেটিয়া কায়েম করতে চাইছে। তাদের বিপণন ব্যবস্থা আগ্রাসী। শক্তিশালী রাষ্ট্র – বিশেষত মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সমর্থন নিয়ে দুর্বল দ...
ধানই কৃষকের প্রাণ
ধান

ধানই কৃষকের প্রাণ

ফরিদা আখতার || Friday 14 April 2017 বলা হয়, বাংলাদেশে কৃষি কী তার পরিচয় ধান উৎপাদনের মধ্যে। কিন্তু কথাটা একাট্টা ধানের আবাদ যেমন নয়, তেমনি স্রেফ ধান চাষও নয়। কারন ভুলে যাওয়া উচিত নয় যে সরকারী হিসাবেই বাংলাদেশে ধানের জাতর সংখ্যা প্রায় পনেরো হাজারেরও বেশি ছিল। তাদের মৌসুম, চাষের সময় পানির পরিমান, ফটো পিরিয়ড বা দিনের আলো ব্যাবহারের সময়কাল এক রকম ছিল না। প্রাণের বৈচিত্র্যের চর্চা হাজার হাজার জাতের ধান আবাদের মধ্যেই ধরা পড়ত। স্রেফ ধান চাষ নয় কেন? কারণ জমিতে কখন কি ধান বুনছি তার সঙ্গে জমির ব্যবহার ও ব্যবস্থাপনার প্রশ্ন জড়িত। ধানচাষ কেন্দ্রিক একটি বাস্তুসংস্থান পদ্ধতি বা ইকোসিস্টেম গড়ে উঠেছিল। সেই সবের কিছুই আধুনিক চাষাবাদের ফলে আর নাই। এখন দেশে কোন বছর কত ধান উৎপাদন হচ্ছে তা দিয়ে কৃষির সার্বিক ভাল মন্দ বিচার হয়। কিন্তু ধানের জাত কতোটা হারিয়েছি, ধান চাষ করতে গিয়ে ডাল...
চতুষ্পদ প্রাণীর অর্থনীতি
পরিবেশ ও প্রাণবৈচিত্র

চতুষ্পদ প্রাণীর অর্থনীতি

ফরিদা আখতার || Sunday 28 February 2016 আমরা জানি না, অর্থনীতির আসলে কয়টি পা রয়েছে। তবে সবকিছুর পেছনে দুই পায়ের মানুষ নামক জীবের জন্যই অর্থনীতির সবকিছু আয়-ব্যয় করা হয় এবং তাদের ‘উন্নয়ন’ করাই দেশের লক্ষ্যে পরিণত হয়। এজন্য এক বিরাট সংখ্যক দুই পা-বিশিষ্ট মানুষ নামক প্রাণী হাড়ভাঙ্গা খাটুনি খাটে, অন্যদিকে মানুষ নামক ক্ষুদ্র বিশিষ্ট অংশ দেশের অর্থনীতির মূল মাখনটি খেতে পারে। এ পরিস্থিতির ব্যাখ্যা অর্থনীতির ভাষায় ধনী-গরিব ব্যবধানের চিত্র হিসেবে দেখানো হয়। বিশ্বের অন্য সব দেশের মতো এই অন্যায় -- মানুষের অর্থনৈতিক অবস্থার বিভাজন--  বাংলাদেশেও রয়েছে। উন্নয়নের অনেক অগ্রগতি হচ্ছে ঠিকই, কিন্তু অর্থনৈতিক অবস্থায় নিচের দিকে যারা আছেন, অর্থাৎ গরিবদের আয় ১ দশমিক ২ থেকে কমে শূন্য দশমিক ৮ শতাংশ হয়েছে ২০১০ সালে। এর তুলনায় উপরের দিকে থাকা ধনীদের আয় বেড়েছে ৫ থেকে ১৮ দশমিক ৩ শতাংশ।...