Tag: জর্দা

বাংলাদেশে ধোঁয়াবিহীন তামাক উৎপাদন নারী শ্রমিকদের কাজ
(জিএমও) গোল্ডেন রাইস, তামাক

বাংলাদেশে ধোঁয়াবিহীন তামাক উৎপাদন নারী শ্রমিকদের কাজ

উবিনীগ || Monday 10 May 2021 উবিনীগ (উন্নয়ন বিকল্পের নীতিনির্ধারণী গবেষণা) এর একটি অনুসন্ধানমূলক গবেষণা ধোঁয়াবিহীন তামাকজাত দ্রব্যের ব্যবহার বাংলাদেশে প্রাপ্তবয়স্কদের মধ্যে ধোঁয়াবিহীন তামাকজাত দ্রব্য (জর্দা, গুল ও সাদা পাতা) প্রাপ্তবয়স্ক জনগোষ্টির মধ্যে ব্যবহারকারীর সংখ্যা শতকরা ২০.৬ ভাগ (২ কোটি ২০ লক্ষ)। ধোঁয়াবিহীন তামাক ব্যবহারকারী নারীদের মধ্যে বেশী (২৮%) প্রাপ্তবয়স্ক নারী। ব্যবহারকারীর মধ্যে ধোঁয়াযুক্ত তামাক ব্যবহারকারীর ১৮% এর বেশী (১ কোটি ৯২ লক্ষ)। [গ্যাটস, ২০১৭] ভারত এবং নেপালের পরেই ৯টি দক্ষিণ পূর্ব এবং দক্ষিণ এশিয়ার দেশগুলির মধ্যে ধোঁয়াযুক্ত তামাক ব্যবহারের দিক থেকে বাংলাদেশের অবস্থান তৃতীয়। ধূমপান ও তামাকজাত দ্রব্য ব্যবহার (নিয়ন্ত্রণ) আইন ২০০৫, সংশোধিত ২০১৩ এ তিনটি ধোঁয়াবিহীন তামাকজাত দ্রব্য যেমন - জর্দা, গুল ও সাদাপাতা তামাকের সংজ্ঞায় আর্ন্তভুক্ত করা...
তামাক চাষ নিয়ন্ত্রণ অত্যন্ত জরুরি
তামাক

তামাক চাষ নিয়ন্ত্রণ অত্যন্ত জরুরি

ফরিদা আখতার || Saturday 22 June 2019 সিগারেট, বিড়ি, জর্দা, গুল, সাদাপাতার মতো ধোঁয়াযুক্ত এবং ধোঁয়াবিহীন তামাক দ্রব্যের ব্যবহার নিয়ন্ত্রণের জন্যে দেশে আইন আছে এবং সেই আইন বাস্তবায়নের জন্যে বিধিমালাসহ নানা ধরণের ব্যবস্থা রয়েছে। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার ফ্রেমওয়ার্ক কনভেনশান অন টোবাকো কন্ট্রোল (এফসিটিসি) এখন সংশ্লিষ্ট সকল কর্মকর্তাদের কাছে পরিচিত। তামাক স্বাস্থ্যের জন্যে ক্ষতিকর, তামাকের কারণে প্রতিরোধযোগ্য রোগে লক্ষাধিক মানুষ মারা যাচ্ছে প্রতি বছর, এই ব্যপারে সচেতনতাও সৃষ্টি হচ্ছে। কিন্তু তামাক নিয়ন্ত্রণ কেবল ব্যবহার বা চাহিদা নিয়ন্ত্রণের বিষয় নয়। এর যোগানের দিক, যেমন তামাক পাতার চাষ, বিড়ি/সিগারেট/জর্দা উৎপাদন নিয়ন্ত্রণ করা না হলে ২০৪০ সালের মধ্যে দেশকে তামাকমুক্ত করার মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর ঘোষণা কার্যকর করা যাবে না। তামাকদ্রব্যের আগ্রাসন একদিকে যেমন ব্যবহার বৃদ্ধির মধ্য...
একটি তামাক করনীতি প্রণয়ন এখন সময়ের দাবি
তামাক

একটি তামাক করনীতি প্রণয়ন এখন সময়ের দাবি

ফরিদা আখতার || Saturday 11 May 2019 সব দিক বিবেচনায় তামাক একটি ক্ষতিকর পণ্য। অথচ এখনো এর ব্যবহার প্রাপ্তবয়স্ক জনগোষ্ঠীর মধ্যে ৩৫ দশমিক ৩ শতাংশ। সিগারেট, বিড়ি, জর্দা, সাদাপাতা ও গুলের ব্যবহার এমন পর্যায়ে চলে গেছে, যেন মনে হয় এগুলো দৈনন্দিন জীবনের প্রয়োজনীয় অংশ। অথচ আন্তর্জাতিকভাবেই এসব পণ্যের ক্ষতির দিক প্রমাণিত। তাই বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার তামাক নিয়ন্ত্রণের সনদ মেনে অন্যান্য দেশের মতো বাংলাদেশেও ২০০৫ সাল থেকে তামাক নিয়ন্ত্রণের সুনির্দিষ্ট আইন আছে। এর ব্যবহার নিয়ন্ত্রণের ব্যবস্থাও আছে। তা সত্ত্বেও তামাক ব্যবহারের এ হার বিশ্বের অন্যান্য দেশের চেয়ে অনেক বেশি এবং ক্রমাগতভাবে নতুন প্রাপ্তবয়স্কদের মধ্যে ছড়াচ্ছে। অর্থাৎ তামাক কোম্পানির সক্রিয় চেষ্টা তামাক নিয়ন্ত্রণ কার্যক্রমকে ব্যাহত করছে। তামাকের ক্ষতি নিয়ে গবেষণা কম হয়নি। দেশে ১৫ লাখের বেশি প্রাপ্তবয়স্ক নারী ও পুর...
প্লেইন প্যাকেজিংয়ে তামাক পণ্যঃ তৈরি হও
তামাক

প্লেইন প্যাকেজিংয়ে তামাক পণ্যঃ তৈরি হও

ফরিদা আখতার || Monday 30 May 2016 সিগারেট, বিড়ি, জর্দার প্যাকেটে আকর্ষণীয় ছবি এবং কোম্পানি তার নিজের বিশেষ রং ব্যবহার করে ক্রেতাকে তার পণ্যের জন্যে ধরে রাখতে চায়। তাদের ইচ্ছা শুধু তামাক সেবনেই নয়, সেই বিশেষ কোম্পানির তৈরি করা ব্রান্ড ব্যবহারে। যারা সিগারেট খায় তারা কোন বিশেষ ব্রান্ডের সিগারেট খায় তা দিয়ে তার সামাজিক অবস্থানও বোঝাতে চায়। তাই ব্রান্ড, রং চিনে সিগারেট বা জর্দা ব্যবহার করে জোর গলায় বলবে সে কি ব্রান্ড খায়। তামাক সেবন জনস্বাস্থ্যের জন্যের ক্ষতিকর এবং অকাল মৃত্যুর অন্যতম প্রধান কারণ বলে যখন থেকে স্বীকৃতি পেল তখন থেকে এর ব্যবহার কমাবার উদ্যোগ নেয়া হোল বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার পক্ষ থেকে। মে মাসের ৩১ তারিখ আন্তর্জাতিক তামাকমুক্ত দিবস হিসেবে পালিত হয়ে আসছে ১৯৮৭ সাল থেকে। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার সদস্য দেশ সমূহ তামাকের মহামারি থেকে মুক্ত করার জন্যে এবং প্রতিরোধযো...
ধোঁয়াবিহীন তামাকজাত দ্রব্যেরও কর বাড়ানো হোক
তামাক

ধোঁয়াবিহীন তামাকজাত দ্রব্যেরও কর বাড়ানো হোক

ফরিদা আখতার || Friday 30 May 2014 ||  জাতীয় বাজেটে জনগণের ব্যবহার্য নিত্যপ্রয়োজনীয় ও বিলাস দ্রব্যের ওপর কর আরোপ করা হলে সে পণ্যের দাম বাড়বে কী বাড়বে না তা নির্ধারিত হয়। আমরা জানি, কর আরোপের সাধারণ উদ্দেশ্য রাজস্ব আয় বৃদ্ধি করা; কিন্তু রাজস্ব বৃদ্ধি করতে গিয়ে জনগণের ওপর যেন চাপ সৃষ্টি না হয় তার দিকেও নজর দিতে হয়। সরকারের দিক থেকে এসব বিষয় লক্ষ্য রাখা অত্যন্ত জরুরি। কর আরোপের মাধ্যমে নিষিদ্ধ নয়; কিন্তু মানুষের স্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকর পণ্যের ব্যবহার কমানো ওই বিশেষ কৌশলে একটি বিশেষ পদক্ষেপ হিসেবে নেয়া যেতে পারে। এমন কিছু পণ্য আছে যা ক্ষতিকর; কিন্তু দামে সস্তা হওয়ার কারণে ব্যবহার কমানো সম্ভব হয় না। সেক্ষেত্রে উচ্চ হারে কর আরোপ করে দাম বাড়িয়ে দেয়া জরুরি পদক্ষেপ হিসেবে স্বীকৃত। অর্থনীতির একেবারে সাধারণ সূত্র ধরে দাম বাড়ালে ব্যবহার কমবে, ক্ষতিকর তামাক পণ্যে...