পরিবেশ ও প্রাণবৈচিত্র

চতুষ্পদ প্রাণীর অর্থনীতি
পরিবেশ ও প্রাণবৈচিত্র

চতুষ্পদ প্রাণীর অর্থনীতি

ফরিদা আখতার || Sunday 28 February 2016 আমরা জানি না, অর্থনীতির আসলে কয়টি পা রয়েছে। তবে সবকিছুর পেছনে দুই পায়ের মানুষ নামক জীবের জন্যই অর্থনীতির সবকিছু আয়-ব্যয় করা হয় এবং তাদের ‘উন্নয়ন’ করাই দেশের লক্ষ্যে পরিণত হয়। এজন্য এক বিরাট সংখ্যক দুই পা-বিশিষ্ট মানুষ নামক প্রাণী হাড়ভাঙ্গা খাটুনি খাটে, অন্যদিকে মানুষ নামক ক্ষুদ্র বিশিষ্ট অংশ দেশের অর্থনীতির মূল মাখনটি খেতে পারে। এ পরিস্থিতির ব্যাখ্যা অর্থনীতির ভাষায় ধনী-গরিব ব্যবধানের চিত্র হিসেবে দেখানো হয়। বিশ্বের অন্য সব দেশের মতো এই অন্যায় -- মানুষের অর্থনৈতিক অবস্থার বিভাজন--  বাংলাদেশেও রয়েছে। উন্নয়নের অনেক অগ্রগতি হচ্ছে ঠিকই, কিন্তু অর্থনৈতিক অবস্থায় নিচের দিকে যারা আছেন, অর্থাৎ গরিবদের আয় ১ দশমিক ২ থেকে কমে শূন্য দশমিক ৮ শতাংশ হয়েছে ২০১০ সালে। এর তুলনায় উপরের দিকে থাকা ধনীদের আয় বেড়েছে ৫ থেকে ১৮ দশমিক ৩ শতাংশ।...
টেকসই উন্নয়ন ও সাধারণ মানুষের বেঁচে থাকা না থাকার প্রশ্ন
পরিবেশ ও প্রাণবৈচিত্র

টেকসই উন্নয়ন ও সাধারণ মানুষের বেঁচে থাকা না থাকার প্রশ্ন

ফরিদা আখতার || Wednesday 10 February 2016 বাংলাদেশের সাধারণ মানুষ বলতে তাদের সংখ্যায় পরিণত করার প্রবণতা দেখা যায় উন্নয়ন নিয়ে কথাবার্তায়। কত মানুষ গরিব, কত মানুষ কাজ করছে, কত মানুষ বেকার ইত্যাদি। এ আলোচনার একটি দিক দীর্ঘদিন ধরে চলে আসছে, তা হচ্ছে, জনসংখ্যা বৃদ্ধি নিয়ে অন্তর্জাতিক মহলে উৎকণ্ঠা। বাংলাদেশ মানে হলো ছোট দেশ; কিন্তু মানুষের সংখ্যা বেশি। এখানে উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা অর্জন করা কঠিন কাজ। আসলে দেশের জনসংখ্যা কত, তাও হয়তো অনেকেই ঠিকমতো নিরূপণ করে বলেন না। ১৬ কোটি মানুষের দেশ বলতে বলতে মুখে ফেনা উঠে যায়; কিন্তু জনশুমারিতে দেখা যায়, ১৫ কোটির একটু বেশি। মন্ত্রীরা তাদের বক্তৃতায় একেক সময় একেক সংখ্যা বলেন। গ্যাস দিতে না পারলে বলেন, ১৬ কোটি মানুষের জন্য গ্যাসের জোগান দেয়া সম্ভব নয়; এলপিজি দিতে গেলেও সময় লাগবে। আবার খাদ্য উৎপাদন বাড়ছে বলে যখন গর্ব করে বলা হয় তখন আবা...
মাত্র কয়েকজনই মহাধনী, বাকিরা গরিব!  বাংলাদেশেও তাই
পরিবেশ ও প্রাণবৈচিত্র

মাত্র কয়েকজনই মহাধনী, বাকিরা গরিব! বাংলাদেশেও তাই

ফরিদা আখতার || Saturday 23 January 2016  অর্থনীতির অবস্থা বুঝতে গিয়ে উন্নয়নশীল দেশে দারিদ্র্যের হার বেড়েছে বা কমেছে কিনা তা নিয়ে অনেক মাথা ঘামানো হয়। অর্থনীতিবিদরা নানা তত্ত্ব দেন। রাজনৈতিক সরকার পরিসংখ্যানে দারিদ্র্যের হার একটু কম দেখাতে পারলে উল্লসিত হয়ে ওঠে। আর জিডিপি বৃদ্ধি পেলে তো কথা-ই নাই। বাহ্! অনেক উন্নতি হয়েছে। এখন গণতন্ত্রের দরকার নেই। এটা আমাদেরই কৃতিত্ব। আমাদের আগে যারা ছিল, তারা কিছু করেনি ইত্যাদি ইত্যাদি। অথচ উন্নয়ন বা দারিদ্র্যবিমোচনের একটি ধারাবাহিক প্রক্রিয়া থাকে এবং জনগণও কারও মুখের দিকে চেয়ে বসে থাকে না। কাজেই দেশের অর্থনৈতিক পরিস্থিতির পরিবর্তন হতে থাকে। কিন্তু অর্থনীতির অংক অর্থনৈতিক অবস্থা বোঝার ভাল কোন মানদণ্ড নয়। যদি এমন একটি ব্যবস্থা টিকিয়ে রাখা হয় যেখানে প্রবৃদ্ধির অর্থ কিছু মানুষের হাতে সম্পদের পুঞ্জিভবন, আর বাকিদের গরিব করা – তাহলে...
বেগম রোকেয়া, সুফিয়া কামাল, নুরজাহান বেগম এবং আরও পথিকৃৎ – সালাম জানাই
পরিবেশ ও প্রাণবৈচিত্র

বেগম রোকেয়া, সুফিয়া কামাল, নুরজাহান বেগম এবং আরও পথিকৃৎ – সালাম জানাই

ফরিদা আখতার || Sunday 06 December 2015 বেগম রোকেয়া সাখাওয়াত হোসেন (১৮৮০-১৯৩২) বাংলাদেশের শুধু নন, পুরো দক্ষীণ এশিয়ায় উল্লেখ করার মতো একজন নারী মুক্তি দার্শনিক ও পথ প্রদর্শক। প্রায় শত বছর আগে তিনি যা লিখেছেন এবং করেছেন আজকের দিনেও অনেকে সেভাবে ভবিষ্যত কল্পনা করে ভাবতে পারেন না, কাজ করতে পারেন না। এটা আমি হলপ করে বলতে পারি। বেগম রোকেয়াকে নারী শিক্ষায় অবদান রাখার জন্যে বেশী উল্লেখ করা হয়, কিন্তু রোকেয়া রচনাবলী পড়লে তার চিন্তার ব্যাপকতা বোঝা যায়। কি কি বিষয় নিয়ে না ভেবেছেন তিনি! আরও যেটা বোঝা দরকার সেটা হচ্ছে তাঁর চিন্তা ও কাজ একত্রে ছিল। তিনি শুধু লিখে বসে না থেকে যতোটুকু পেরেছেন স্কুল চালিয়েছেন, নারীদের কর্মসংস্থানের চিন্তা করেছেন। নিরাশ্রীতাদের আশ্রয় দিয়েছেন। আবার সম্ভাবনার দ্বার যেখানে খোলা ছিল সেগুলো সবই করেছেন। নারী সংগঠন করে দলীয় কোন রাজনীতির বাইরে গিয়ে কী কর...
অর্গানিক কৃষি বাংলাদেশের ১৬ কোটি মানুষকে খাওয়াতে পারবে
পরিবেশ ও প্রাণবৈচিত্র

অর্গানিক কৃষি বাংলাদেশের ১৬ কোটি মানুষকে খাওয়াতে পারবে

ড. এম. এ. সোবহান ও গোলাম রাব্বী বাদল || Tuesday 01 December 2015 আধুনিক কৃষির বিষাক্ত ছোবলে উৎপাদন ব্যবস্থা ধ্বংসের দারপ্রান্তে পৌছেছে। রাসায়নিক কৃষি প্রসারের ধারায় সিনথেটিক সার ও বালাই নাশকের ব্যাপক ব্যবহারের ফলে ভূগর্ভস্থ পানির স্তর যেমন-বিষাক্ত হচ্ছে তেমনই এককাট্টা ফসলের আবাদের ফলেও প্রাণবৈচিত্র্য ধ্বংস হচ্ছে। ধ্বংসাত্মক এ ব্যবস্থা অবিরাম ধারায় চলতে থাকলে কৃষি ব্যবস্থায় ধস নামবে। মাটির গুণাগুণ হারিয়ে যাবে। নিস্প্রাণ শিলায় পরিণত হবে। যেমনটি সৃষ্টির আদিতে গাছপালা ও প্রাণীর আবির্ভাবের পূর্বে ছিল। আধুনিক কৃষি ব্যবস্থায় উৎপাদন খরচ ক্রমশঃ বেড়েই চলছে। অথচ রাজনৈতিক কৌশলের অংশ হিসাবে কৃষি তথা ভোগ্য পণ্যের বাজার দর কমানোর জন্য রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে প্রতিযোগিতা চলছে। ফলে যা হবার তাই হচ্ছে। একদিকে উপকরণের দাম বেড়েই চলছে অন্য দিকে কৃষি পণ্যের দাম কমছে। ফসল বিক্রি করে উৎপাদন খরচ...
আমি যখন বড় হব, গাছও তখন বড় হবে
পরিবেশ ও প্রাণবৈচিত্র

আমি যখন বড় হব, গাছও তখন বড় হবে

সীমা দাস সীমু || Monday 17 August 2015 নয় বছরের স্মৃতি। ‘আমি যখন বড় হব, গাছও তখন বড় হবে’ আম গাছ লাগিয়ে এমনই তার ভাবনা। গ্রামে কিশোরীদের বিয়ে হয় তাড়াতাড়ি। অল্প বয়সে। মেয়েদের বয়স ১২-১৩ হলেই মা-বাবা’রা বিয়ে দেবার জন্য চিন্তিত হয়। ফলে তারা লেখা-পড়া বেশী দূর করতে পারে না। এই বিয়ে দেবার যথেষ্ট কারণও আছে। গ্রামে কম বয়সে মেয়েদের বিয়ে হলে যৌতুক কম লাগে। মেয়ে বড় হয়ে গেলে যৌতুক বেশী লাগে। বাবা-মাদের পক্ষে সম্ভব হয় না বেশী যৌতুক দিয়ে মেয়ের বিয়ে দেবার। তাই নারীগ্রন্থ প্রবর্তনা বাল্যবিবাহ বা ১৮ বছরের পূর্বেই যাতে মেয়েদের বিয়ে না হয় তার জন্য কিশোরীদের মধ্যে গাছ লাগানোর কর্মসূচী হাতে নেয়। এখন গাছ লাগান হলে মেয়ে বড় হতে হতে গাছও বড় হবে। বাবা-মাকে মেয়ের বিয়ের খরচের জন্য চিন্তা করতে হবে না। এর মধ্যে মেয়ে তার পড়াশুনাও চালিয়ে নিতে পারবে। এই উদ্দেশ্যেই কিশোরীদের ম...
বিশ্ব অর্থনীতির কর্পোরেট শিশু ও তার মনস্তত্ত্ব
পরিবেশ ও প্রাণবৈচিত্র

বিশ্ব অর্থনীতির কর্পোরেট শিশু ও তার মনস্তত্ত্ব

ফরিদা আখতার || Sunday 17 May 2015 শিশুকাল বা বাল্যকাল বলে একটি কথা আছে যা আমাদের সবার জীবনের স্মৃতির একটি বড় অংশ জুড়ে থাকে। যতোই বয়স বাড়ুক না কেন সকলেরই বাল্যকালের স্মৃতি থেকে তার পুরো মনস্তত্ত্ব বোঝা যায়। শিশু কোন ধরনের পারিবারিক ও সামাজিক পরিবেশে বড় হয়ে উঠেছে তার পরিচয় পাওয়া যায় তার শিশুকালের বেড়ে ওঠা কেমন ছিল তা জেনে। তার মনস্তত্ত্ব নির্ণয় করা কঠিন হয় না। আগের যুগে শিশুকালের বেড়ে ওঠা এবং তার মনস্তত্ত্ব গড়ে ওঠার সাথে সরাসরি মা-বাবা, ভাই বোন ছাড়াও চাচা-চাচী, খালা-মামা, নানী-দাদী, নানা-দাদার প্রভাব ছিল কোন না কোন ভাবে। ভাগ্য ভাল হলে শিশু দাদা-নানার আদর ও শাসনে বড় হতে পারে, ভাগ্য ভাল হলে ছোট মেয়েটি তার দাদী বা নানীর লুকায়িত জ্ঞানের সাথে পরিচিত হয়ে এই জ্ঞানের ধারাবাহিকতার অধিকারী হতে পারে। নাতনীকে সাথে নিয়ে শাক তোলা, ওষুধি গাছ নিয়ে কাজ করা, গল্প বলা, গাছ-পাল...
দেশীয় প্রজাতির ছোট মাছের সংকট চলছে
পরিবেশ ও প্রাণবৈচিত্র

দেশীয় প্রজাতির ছোট মাছের সংকট চলছে

আব্দুল জব্বার || Thursday 16 April 2015 বাংলাদেশ নদ-নদী হাওর, বাওড়, খাল-বিল নালা, ডোবার দেশ। এক কথায় প্রচুর মিঠা পানির দেশ। আর প্রচুর মিঠা পানির কারণে এদেশ মিঠা পানির প্রাচুর্যেরও দেশ। বাংলাদেশে এখনো যত প্রজাতির মিঠা পানির মাছ রয়েছে সারা ইউরোপ মহাদেশে তা নেই। মিঠা পানির এই অতিমূল্যবান সম্পদ দিনে দিনে ধ্বংসের দিকে এগিয়ে যাচ্ছে। কেন কি কারণে মিঠা পানির মাছ ধ্বংসের দিকে এগিয়ে যাচ্ছে সে সম্পর্কে আমরা সবাই কমবেশি জানি, কিন্তু আমলে আনি না। সম্প্রতি দেশের বিভিন্ন জেলাতে চির পরিচিত নানান জাত ও প্রজাতির ছোট মাছের আকাল চলছে। যেমন খাল বিল হাওর, নদ নদীসহ মুক্ত জলাশয় গুলো মাছ শূন্য হয়ে পড়ার আশংকা দেখা দিচ্ছে। জলবায়ু তথা আবহাওয়া পরিবর্তন এবং তথাকথিত অপরিনামদর্শী উন্নয়ন কর্মকাণ্ডের ফলে ধীরে ধীরে খাল বিলের পানি শুকিয়ে যাচ্ছে। এটি মাছ না থাকার একটি অন্যতম কারণ। ইতিমধ্যে বিভিন্ন জেল...
চৈত্র সংক্রান্তি পালন ও প্রকৃতির হিশাব নিকাশ
পরিবেশ ও প্রাণবৈচিত্র

চৈত্র সংক্রান্তি পালন ও প্রকৃতির হিশাব নিকাশ

ফরিদা আখতার || Monday 13 April 2015 চৈত্র মাস কেটে গেল গরম ছাড়াই। শীতের পর ফাল্গুন পার হয়ে চৈত্র মাস; চৈত্র মাসে আবহাওয়া গরম হয়ে ওঠার সুযোগ থাকে এবং বেশ গরম লাগার কথা। কিন্তু এবারের চৈত্র ছিল একটু ব্যতিক্রম। বেশ কয়েক বার বৃষ্টি হয়েছে এবং বৈশাখ আসার আগেই বৈশাখী ঝড় আমরা দেখেছি। হয়তো একে জলবায়ু পরিবর্তন বলা যেতে পারে। যদি তাই হয় তাহলে আমাদের প্রকৃতিতে মৌসুম অনুযায়ী তাপমাত্রা ও আদ্রতা নিয়ে যেসব ফসল ও গাছ-পালা জন্মাবার কথা তারও পরিবর্তন হচ্ছে। চৈত্র মাস শেষ হচ্ছে, ৩০ দিনে। চৈত্রের শেষ দিনের  মধ্য দিয়ে ১৪২১ বাংলা বছরের সমাপ্তি ঘটবে। কিন্তু চৈত্র সংক্রান্তি পালনের বিষয়টি বছর শেষ ঘোষণার জন্যে নয়, দিনটি পালন হবে মানুষের শরীর ও প্রকৃতির মধ্যে একটি যোগ সুত্র ঘটাবার জন্য। প্রকৃতি থেকে কুড়িয়ে এনে শাক এবং চৈতালি মৌসুমের সবজি, পাতা, মুড়া ইত্যাদি খেয়ে চৈত্র সংক্রান্তি পা...
মেয়র হোক বা নগর পিতাঃ আবর্জনা সাফ করতেই হবে
পরিবেশ ও প্রাণবৈচিত্র

মেয়র হোক বা নগর পিতাঃ আবর্জনা সাফ করতেই হবে

ফরিদা আখতার || Friday 03 April 2015 তিনটি সিটি কর্পোরেশানের নির্বাচনের তফসীল ঘোষনা করেছেন নির্বাচন কমিশন। এর মধ্যে দুটি ঢাকায় – উত্তর ও দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশন আর একটি হচ্ছে চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশন। কাজেই খবরে আলাপ-আলোচনায় নির্বাচন, প্রার্থী মনোনয়ন ইত্যাদি চলে এসেছে। জানুয়ারি মাস থেকে আন্দোলন শুরু হয়েছে, তা এখনো শেষ হয় নি। এই আন্দোলনের দাবী হচ্ছে একটি নির্দলীয় নিরপেক্ষ ও গ্রহণযোগ্য সরকারের অধীনে জাতীয় নির্বাচনের জন্যে। সেটার জন্যে ২০১৯ সাল পর্যন্ত অপেক্ষা নয়, এরই মধ্যে করতে হবে কারণ এখন সরকারের গ্রহণযোগ্যতা নিয়ে জাতীয় ও আন্তর্জাতিক পর্যায়ে নানা প্রশ্ন রয়েছে। সরকার নির্বাচন এক্ষুণি না দিলেও অন্তঃত একটি সংলাপ করার জন্যে শুধু বিশ দলীয় জোট নয়, দেশের মধ্যে নানা ভাবে সুশিল সমাজ, নাগরিক সমাজ, সাধারণ মানুষ, বুদ্ধিজীবী থেকে শুরু করে প্রায় সকলেই চেয়েছেন। বলা যায় এখনো সবারই ...