ওষুধ ও স্বাস্থ্য

সরকারি হাসপাতালের ব্যবস্থাপনা এনজিওকে দেওয়া (!) আত্মঘাতি
ওষুধ ও স্বাস্থ্য

সরকারি হাসপাতালের ব্যবস্থাপনা এনজিওকে দেওয়া (!) আত্মঘাতি

ফরিদা আখতার || Saturday 03 July 2021 করোনা মহামারিতেও মুনাফা করার যারা পরিকল্পনা করতে পারেন, তারা নিশ্চয়ই ‘সেবা’ বোঝেন না। কারণ, ‘সেবা’ তাদের মুনাফা কামানোর উপায় মাত্র। একটি দৈনিকে মন্ত্রীপরিষদ বিভাগের বরাত দিয়ে জানানো হয়েছে, 'দেশের সরকারি হাসপাতালের ব্যবস্থাপনা এনজিওর হাতে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার' [দৈনিক যুগান্তর, ২৫ জুন, ২০২১]। খবরটি নিঃসন্দেহে উদ্বেগজনক। প্রতিবেদনটিতে একইসাথে স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞদের প্রতিক্রিয়ার কথাও দেয়া হয়েছে; তাঁরা মনে করেন 'এ ধরনের সিদ্ধান্ত আত্মঘাতী এবং দেশের জন্য মারাত্মক খারাপ হবে, যা কোনোভাবেই গ্রহণযোগ্য নয়।' প্রথম কথা হচ্ছে, কেন সরকারি হাসপাতাল ব্যবস্থাপনা এনজিও'র হাতে যেতে হবে? এনজিও কাগজে কলমে মুনাফাকারী প্রতিষ্ঠান নয়। নন-প্রফিট। কিন্তু বেসরকারি প্রতিষ্ঠান। তাহলে এনজিওদের হাতে স্বাস্থ্যসেবা ছেড়ে দেওয়ার অর্থ স্বাস্থসেবাকে আরও...
পরিকল্পনাহীন স্বাস্থ্য বাজেট
ওষুধ ও স্বাস্থ্য

পরিকল্পনাহীন স্বাস্থ্য বাজেট

ফরিদা আখতার || Sunday 14 June 2020 যখন বাংলাদেশে বাজেট ঘোষণা হয়েছে (১১ জুন), তখন এখানে নভেল করোনা ভাইরাসে সংক্রমণের সংখ্যা ৮০ হাজার ছাড়িয়েছে এবং মৃতের সংখ্যা হাজার ছাড়িয়েছে। নতুন সংক্রমণের শীর্ষ দশে বাংলাদেশ পৌঁছে গেছে। দুই সপ্তাহ আগেও একটু রয়ে-সয়ে বাড়ছিল। এখন টেস্টের সংখ্যা যেমন বাড়ছে, তেমনি শনাক্তের সংখ্যাও নমুনার ২০-২৫ শতাংশ হারে বাড়ছে। এ পরিস্থিতিতে সরকার একদিকে জীবিকার কথা বলে সারা দেশে লকডাউন শিথিল করছে আবার অন্যদিকে বিভিন্ন এলাকা সবুজ, হলুদ আর লাল জোনিং করে কঠোর ব্যবস্থা নিচ্ছে। মোট কথা, সরকার একটু বেসামালভাবেই কভিড-১৯ সংক্রমণ রোধ এবং আক্রান্তদের চিকিৎসার ব্যবস্থাপনা করছে। যা হচ্ছে তার দায়িত্বে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় রয়েছে। কভিড-১৯-এর চেয়েও মরণঘাতী আরো অনেক রোগ থাকা সত্ত্বেও এই মহাসংক্রমণ বা মহামারী দেশের স্বাস্থ্য ব্যবস্থাকে নাড়িয়ে দিয়েছে। উন্মোচন করছে স্ব...
‘উন্নয়নবাহিত’ রোগ ডায়াবেটিস ও আমাদের কৃষি
ওষুধ ও স্বাস্থ্য

‘উন্নয়নবাহিত’ রোগ ডায়াবেটিস ও আমাদের কৃষি

ফরিদা আখতার || Thursday 07 April 2016 ডায়াবেটিস কোনো অপরিচিত রোগ নয়। চা পরিবেশন করতে গেলেই টের পাওয়া যায় কার ডায়াবেটিস আছে আর কার নেই। আজকাল জিজ্ঞেস করার নিয়ম হয়েছে, ‘চিনি দেব?’ রাজধানী শহর ঢাকায় সকালে রমনা পার্ক, চন্দ্রিমা উদ্যান, মধ্য ও উচ্চবিত্তদের আবাসিক এলাকা যেমন— গুলশান, ধানমন্ডির ফুটপাতে হন হন করে হাঁটতে দেখা যায় বিভিন্ন বয়সের নারী ও পুরুষকে। একেবারে যারা তরুণ, তাদের দেখা না গেলেও চল্লিশোর্ধ্ব অনেককেই এভাবে হাঁটতে হয় চিকিত্সকের প্রেসক্রিপশনে। এটা শহরের চিত্র, কারণ এ রোগ নিয়ে আলোচনা বা চিকিত্সা প্রথম শহর থেকেই শুরু হয়েছে। এ ধরনের রোগকে আমরা শহুরে ও বিত্তবানদের রোগ বলেই এতকাল জেনেছি। গ্রামে কি তাহলে ডায়াবেটিস নেই? অবশ্যই আছে। কিন্তু তা জানা যাচ্ছে না সময়মতো। নির্ণয় করাই হচ্ছে না। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা ২০১৬ সালে রোগটি নিয়ে একটি পূর্ণাঙ্গ প্রতিবেদন প্রকাশ করত...
স্বাস্থ্যসেবার অবহেলায় রোগীর মৃত্যু: রোগীর সুরক্ষা আইনের পর্যালোচনা
ওষুধ ও স্বাস্থ্য

স্বাস্থ্যসেবার অবহেলায় রোগীর মৃত্যু: রোগীর সুরক্ষা আইনের পর্যালোচনা

ফরিদা আখতার || Sunday 15 March 2015 খুব বেশী দিন আগের কথা নয়। দেশে যখন সহিংসতার শিকার নানা ধরণের ‘রোগী’ নিয়ে হাসপাতালগুলো ব্যস্ত ঠিক সে সময় সিলেটে এমএজি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নবজাতক ও ১০ শিশু সহ ৩২ জনের মৃত্যুর ঘটনা সকলকে চমকে দিয়েছে। নয় ফেব্রুয়ারি ২০১৫ তারিখে চব্বিশ ঘন্টায় এতোগুলো মৃত্যু একসাথে ঘটেছে এটা কোনমতেই স্বাভাবিক নয় বলেই বিবেচিত হয়েছে। স্বজনরা অভিযোগ করেছেন ভুল চিকিৎসা বা অবহেলায় এই মৃত্যু হয়েছে। অন্যদিকে কোন প্রকার খোঁজ খবর ছাড়াই হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ দাবি করেন,ঠান্ডা জনিত রোগে শিশুদের মৃত্যু হয়েছে। সে সময় শীত কাল ছিল, ঠান্ডা তো লাগতেই পারে। কিন্তু এই মৃত্যু তো বাড়িতে বসে ঘটেনি। ঠান্ডা লাগলেও যেখানে এসে চিকিৎসা পাওয়া যাবে তেমন জায়গাতেই এই রোগীরা ছিল। তাহলে এই মৃত্যু কেন ঘটলো? তদন্ত অবশ্যই হওয়া জরুরী ছিল। হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ নিজেরাই শুরুতে অবশ্য ...
স্বাস্থ্য খাতে দুর্নীতি নাকি অব্যবস্থাপনা
ওষুধ ও স্বাস্থ্য

স্বাস্থ্য খাতে দুর্নীতি নাকি অব্যবস্থাপনা

ফরিদা আখতার || Friday 14 November 2014 সম্প্রতি টিআইবির স্বাস্থ্য খাত সংক্রান্ত একটি প্রতিবেদন নিয়ে সরকার অখুশি হয়েছে। বিশেষ করে স্বাস্থ্যমন্ত্রী। হওয়ারই কথা। এত দুর্নীতির তথ্য-উপাত্ত হাজির করলে এবং তা টেলিভিশন ও পত্র-পত্রিকায় প্রকাশিত হলে ভাবমূর্তি বলে তো একটা কথা আছে, সেটা ফুটো হয়ে যায়। তাই তথ্য সঠিক কী বেঠিক যাচাই না করেই স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়, বিশেষ করে স্বাস্থ্যমন্ত্রী প্রতিক্রিয়া জানিয়ে বসেন, এ রিপোর্ট একপেশে। তার চেয়ে ভালো হতো যদি মন্ত্রী মহোদয় সমস্যা চিহ্নিত হয়েছে দেখে দ্রুত প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নিতেন। আমরা যারা স্বাস্থ্য খাত নিয়ে কাজ করি আমাদের কাছে মনে হয়নি টিআইবির প্রতিবেদনে এমন কোনো নতুন তথ্য আছে, যা আমাদের কিংবা সাধারণ জনগণের জন্য আশ্চর্য হওয়ার মতো। টিআইবি তথ্যগুলো গুছিয়ে দিয়েছে মাত্র। এর আগে এ তথ্য স্বাস্থ্য সাংবাদিক ফোরাম, স্বাস্থ্য আন্দোলনসহ আরও ...