শিরা মিষ্টিকুমড়া

আজমিরা খাতুন || Tuesday 28 July 2020

জাতের নাম শিরা মিষ্টিকুমড়া। এই জাতের মিষ্টি কুমড়ার শরীরের উপর দিয়ে শির শির ভাগ আছে। প্রতিটি কুমড়ার শরীরে ৮ টি করে শির বা ভাগ আছে। এজন্যই এই মিষ্টি কুমড়ার নাম শিরা মিষ্টি কুমড়া। এই অঞ্চলের অনেক কৃষক এই মিষ্টি কুমড়া চাষ করে। এই জাতের মিষ্টি কুমড়া বেশি দিন ঘরে রাখা যায়।

লাগানোর সময় কাল
শিরা মিষ্টি কুমড়া বছরে দুইবার লাগানো যায়। প্রথমে ফাল্গুন মাসে লাগানো হয়। ফল ধরা শুরু হয় বৈশাখ মাসে। জৈষ্ঠ ও আষাঢ় মাসে বীজ সংগ্রহ করা হয়। আবার সেই বীজ ভাদ্র মাসে লাগানো হয়। কার্তিক, অগ্রাহায়ন মাসে ফল ধরা শুরু হয়। পৌষ, মাঘ মাসে বীজ সংগ্রহ করা হয়। তবে দুটি মৌসুমেই এই মিষ্টি কুমড়া জাতটি খুব ভাল ফল আসে।

ফলন
শিরা জাতের মিষ্টি কুমড়া প্রতিটি গাছে ১৫-২০ টি ফল ধরে। আবহাওয়ার সাথে খাপ খেয়ে গাছ টিকে থাকে। বেশি খরায় ভালো হয়। বর্ষাতেও ভাল হয়। তবে বৃষ্টির পানি গাছের গোড়ায় জমে থাকলে গাছ মারা যায়। বর্ষাকালে যদি গাছ উচু জমিতে লাগিয়ে ঝাংলা দেওয়া হয়, তাহলে ভাল ফল ধরে।

মিশ্র ফসল
শিরা মিষ্টি কুমড়া মিশ্র ফসল আকারে করলে আরও ভাল হয়। আমরা যেমন বেগুন, মরিচের সাথে মিশ্র আকারে করেছি। আমরা অনেক ভাল ফসল পেয়েছি। মিষ্টি কুমড়া যেমন ভাল পেয়েছি। ঠিক তেমনি মরিচ এবং বেগুন খুব ভাল হয়েছে।

শিরা মিষ্টি কুমড়া লাগানোর স্থান
আরশিনগর বিদ্যাঘরের বড় পুকুর পাড়ে এই কুমড়া লাগানো হয়েছে। এই মিষ্টি কুমড়া উচু জায়গাতে লাগাতে হয়।

ফলের সাইজ
এই শিরা মিষ্টি কুমড়া আকারে বড় হয়।একটি মিষ্টি কুমড়া ৮-১০ কেজি ওজনের হয়। প্রতিটি কুমড়ার মধ্যে ১৫০ থেকে ২০০ গ্রাম বীজ পাওয়া যায়। বীজ খুব সবল ও পুষ্ট এবং দেখতে অনেক সুন্দর হয়।

শিরা মিষ্টি কুমড়া খেতে কেমন
এই মিষ্টি কুমড়া দেখতে যেমন সুন্দর ঠিক তেমনি খেতেও অনেক ভাল। অনেক মিষ্টি স্বাদের । রান্না করাও অনেক সুবিধা। ভাজি , ভর্তা ও রান্না করে খাওয়া যায়।

আরশিনগর নয়াকৃষি বিদ্যাঘর ঈশ্বরদী পাবনা
২৬.০৭.২০২০

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *