ফরিদা আখতার || Saturday 20 July 2019
আন্তর্জাতিক সংস্থা International Union for Conservation of Nature (IUCN) বিশ্বের প্রাকৃতিক জগতের পরিস্থিতি এবং তা রক্ষার জন্যে করণীয় নির্ধারণের একটি গুরুত্বপুর্ণ সংস্থা। বিভিন্ন সময়ে IUCN বিভিন্ন প্রাণি, উদ্ভিদসহ প্রকৃতি জগতের ক্ষতি বা বিপন্ন হলে সাবধান করেছে, এবং সেই প্রাকৃতিক সম্পদের লাল তালিকা তৈরি করেছে। তার কারণে দেশ বিদেশের পরিবেশ সংগঠনের কাছে IUCN অত্যন্ত গুরুত্বপুর্ণ। কিন্তু অত্যন্ত পরিতাপের বিষয় যে গত ৯ মে, ২০১৯ তারিখে IUCN এর ওয়েবসাইটে Genetic Frontiers for Conservation report প্রকাশিত হয়েছে, যার অধিকাংশ লেখক বন্যপ্রজাতিকে জেনেটিক ইঞ্জিনীয়ারিং করা এবং সেগুলো ব্যাপকভাবে ছড়িয়ে দেয়ার পক্ষে ওকালতি করছেন, যা ইকোসিস্টেম এবং পরিবেশের জন্যে বিপজ্জনক। এর ক্ষতি সম্পর্কে যেমন আগে থেকে নিরুপন করা যায় না, তেমনি একবার ঘটে গেলে তা আরে ফেরানোর উপায় থাকে না।
এই প্রতিবেদনটি তৈরি করা হয়েছে ২০২০ সালের জুন মাসে IUCN World Conservation Congress কাউন্সিল সদস্যরা কনজারভেশন ও সিনথেটিক বায়োলজি নীতি গ্রহনের পক্ষে-বিপক্ষে ভোট দেবেন। কিন্তু তার আগেই জেনেটিক ইঞ্জিনীয়ারিংয়ের প্রবক্তাদের দিয়ে এই প্রতিবেদন প্রকাশের মাধ্যমে একপেশে তথ্য প্রদান করে কাউন্সিল সদস্যদের বিভ্রান্ত করা হচ্ছে বলে মনে করা হচ্ছে। এই প্রতিবেদন দিতে হলে আরও একটি প্রতিবেদন তৈরি করতে হবে যাতে এর বিপরীত ধারণারও প্রতিফলন থাকে।
আইইউসিএন এর কাউন্সিল মেম্বারদের কাছে পাঠানো নিম্নের চিঠিতে এই দাবি করা হয়েছে। এতে বাংলাদেশের কয়েকটি সংগঠন উবিনীগ, নয়াকৃষি আন্দোলন, বাংলাদেশ পরিবেশ আইনজীবি সমিতি (বেলা), বাংলাদেশ পরিবেশ আন্দোলন (বাপা), বাংলাদেশ নিরাপদ খাদ্য নেটওয়ার্ক, বারশিকসহ এশিয়া, আফ্রিকা, ল্যাটিন আমেরিকা, ইওরোপ, উত্তর আমেরিকার বিভিন্ন পরিবেশ সংগঠন একটি বিবৃতি দিয়েছেন।