ফরিদা আখতার || Thursday 18 April 2019
ধরুন, সকালে কিংবা বিকালে খুব আয়েশ করে চায়ে চুমুক দিচ্ছেন। কিন্তু একবারও কি মনে হবে আপনি সম্ভবত বিষ খাচ্ছেন? চা খাওয়ার সময় নিশ্চয়ই কেউ ভাববেন না যে এর উৎপাদনের সময় চা বাগানে আগাছানাশক হিসেবে এমন কিছু ব্যবহার হয়েছে, যা ক্যান্সারের কারণ। শুধু তাই নয়, যেসব এলাকায় চা বাগান রয়েছে, সেই বিষাক্ত আগাছানাশক প্রাণ ও প্রকৃতির সর্বনাশ ঘটাচ্ছে। বিষ-বিধৌত পানি বিল, হাওড়-বাঁওড়ে গিয়ে মাছসহ জলজ প্রাণ নষ্ট করছে। কিন্তু আমাদের কোনো হুঁশ নেই।
শুধু পানীয় হিসেবেই নয়, অনেকে চা শরীরের উপকারের জন্যও পান করেন। সর্দি বা জ্বর হলে লেবু বা আদা দিয়ে রঙ চা খেলে ভালোই লাগে। দুধ চা আরো মজার। বন্ধুবান্ধবদের সঙ্গে আড্ডায় চা ছাড়া জমে না, রাজনীতির আলোচনা গরম হয় না। পাড়ায় পাড়ায় চায়ের দোকান গড়ে ওঠে এর জনপ্রিয়তার কারণেই। অন্য কোনো পানীয় নিয়ে এভাবে দোকান গড়ে ওঠে কিনা, আমার জানা নেই। এই চা-পাতা উৎপাদনে চা বাগানে আগাছা পরিষ্কার করার জন্য যে আগাছানাশক ব্যবহার হয়, তার মধ্যে ‘রাউন্ডআপ’ অন্যতম; যার উপাদান গ্লাইফোসেট (Glyphosate)। তাই এত কথা বলছি।
রাউন্ডআপ মনসান্টোর উৎপাদিত গ্লাইফোসেটভিত্তিক আগাছানাশক বা হার্বিসাইড। গত ৩১ মার্চ দৈনিক বণিক বার্তায় প্রকাশিত প্রতিবেদন ‘আগাছানাশক: ক্যান্সারের ঝুঁকি, তবু বাজারে মনসান্টোর রাউন্ডআপ’ অনেকের দৃষ্টি আকর্ষণ করেছে। প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, রাউন্ডআপের উপাদান গ্লাইফোসেটকে ক্যান্সারের জন্য দায়ী করে ২০১৮ সালে এর উৎপাদক কোম্পানি মনসান্টোকে জরিমানা করেন যুক্তরাষ্ট্রের আদালত। এরপর দ্বিতীয় রায়েও এটি ক্যান্সারের জন্য দায়ী বলে প্রমাণ পেয়েছে জুরি বোর্ড। অথচ বাংলাদেশের বাজারে এখনো গ্লাইফোসেট বিক্রি হচ্ছে। বণিক বার্তার প্রতিবেদক ঠাকুরগাঁও, রংপুর, খুলনায় সরেজমিন ঘুরে এসে রাউন্ডআপ বিক্রির খবর পেয়েছেন।
বাংলাদেশে কৃষি ফসল উৎপাদনে বিভিন্ন ধরনের ‘বিষ’ ব্যবহার করা হয়। এর মধ্যে রয়েছে কীটনাশক, ছত্রাকনাশক, আগাছানাশক এবং অন্যান্য রাসায়নিক পদার্থ। বিভিন্ন কোম্পানি বিভিন্ন নামে রাসায়নিক ‘বিষ’ বাংলাদেশে বিক্রি করছে।
আধুনিক কৃষিতে রাসায়নিক সার ও কীটনাশক ব্যবহার অপরিহার্য বিষয়। পোকা দমনের জন্য কীটনাশক ধান, সবজি, আখ ইত্যাদি ফসলে ব্যবহার হয়, কিন্তু ‘আগাছা’ অর্থাৎ নির্দিষ্ট ফসলের বাইরে অন্য কোনো উদ্ভিদ পরিষ্কার করার জন্য বিষ নয়, শ্রমিক দিয়েই হাতে পরিষ্কার করা হয়। ধান চাষে আগাছানাশক ব্যবহার সাধারণত হয় না। বাংলাদেশে আগাছানাশকের সবচেয়ে বেশি ব্যবহার হয় চা বাগানে। হার্বিসাইড সম্পর্কে তথ্য নিতে গেলে, বিশেষ করে মনসান্টোর রাউন্ডআপ সম্পর্কে জানতে গেলে এ তথ্যই জানা যায়। এছাড়া তামাক চাষ ও অন্যান্য বাণিজ্যিক ফসলে হার্বিসাইডের ব্যবহার হয়, যেখানে শ্রমিক দিয়ে আগাছা পরিষ্কার ব্যয়বহুল হয়।
রাউন্ডআপ যুক্তরাষ্ট্রে সবচেয়ে বেশি ব্যবহার হয়েছে এবং এর ফলে ক্যান্সারসহ নানা ক্ষতির শিকার হয়েছেন যুক্তরাষ্ট্রের কৃষকরাই সবচেয়ে বেশি। তাই সেখানে মামলা হয়েছে এবং এখন আদালত তা পরীক্ষা করছেন। মনসান্টো এ আগাছানাশক ১৯৭৪ সাল থেকে কৃষি ফসলের আগাছা ‘পরিষ্কার’ করার জন্য বাজারে নিয়ে আসে এবং যুক্তরাষ্ট্রসহ অন্যান্য দেশে ভুট্টা ও সয়াবিন উৎপাদনে প্রতি বছর ২৭০ মিলিয়ন পাউন্ড ব্যবহার করা হয়। অন্যান্য ফসলেও ব্যবহার করা হচ্ছে। এটা তার ‘বেস্ট সেলিং’ পণ্য। ১৯৭০ থেকে ২০১৬ সাল পর্যন্ত গ্লাইফোসেটভিত্তিক হার্বিসাইডের (জিবিএইচ) ব্যবহার একশ গুণ বেড়ে গেছে। এ কারণে নয় যে গ্লাইফোসেট ব্যবহার করে কৃষক অনেক উপকৃত হয়েছেন, বরং এজন্য যে গ্লাইফোসেট ব্যবহারের কারণে সেখানকার আগাছাগুলো প্রতিরোধী হয়ে গেছে। এ আগাছাগুলো এত বেয়াড়া হয়েছে যে বছর বছর আরো বেশি মাত্রায় গ্লাইফোসেট না দিলে কোনো কাজ হয় না। গ্লাইফোসেটনির্ভর আগাছানাশকের ওপর নির্ভরশীল কৃষকের অসহায়ত্বের সুযোগ নিয়ে মনসান্টোর ব্যবসা ফুলে-ফেঁপে উঠেছে।
কিন্তু বর্তমানে গ্লাইফোসেটভিত্তিক রাউন্ডআপ ব্যবহারে বিভিন্ন দেশে কৃষকের যে ক্ষতি হয়েছে, তার জন্য মনসান্টোকে একটি ‘ক্রিমিনাল’ কোম্পানি হিসেবেও আখ্যায়িত করা হয়েছে। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থাও ২০১৫ সালে এ আগাছানাশককে সম্ভাব্য ক্যান্সার সৃষ্টিকারী উপাদানের তালিকায় রেখেছে। এরই মধ্যে জেনেটিক্যালি মডিফায়েড ক্রপের (জিএমও) বীজে মনসান্টোর সম্পৃক্ততার কারণে রাউন্ডআপ আগাছানাশককে এমনভাবে তৈরি করা হয়েছে যেন জিএমও ফসলের (যেমন সয়াবিন, ভুট্টা, ক্যানোলা) মাঠে অন্য কোনো উদ্ভিদ জন্মাতে বা উঠতে না পারে কিংবা মরে যায়। জিএম ক্রপে ব্যবহার করা রাউন্ডআপের ট্রেড নাম দেয়া হয়েছে ‘রাউন্ডআপ রেডি’। এটাকে বলা হয় গ্লাইফোসেট রেজিস্ট্যান্ট ক্রপ। মনসান্টোর জিএম ক্রপের সঙ্গে রাউন্ডআপ রেডির নাম ওতপ্রোতভাবে জড়িত।
যুক্তরাষ্ট্রের ক্যালিফোর্নিয়ায় ২০১৮ সালে ৪৬ বছর বয়সী ডিওয়ান জনসন নামের স্কুল গ্রাউন্ডস কিপার মনসান্টোর বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেন। সানফ্রান্সিসকোর সুপেরিয়র কোর্টে তিনি অভিযোগ করেন, যুগের পর যুগ মনসান্টো রাউন্ডআপ হার্বিসাইড বিক্রি করেছে অথচ এতে যে ক্যান্সারের ঝুঁকি আছে, তা গোপন করেছে। জনসন Non-Hodgkin’s Lymphoma নামের ক্যান্সার রোগে ভুগছিলেন। এ মামলায় জনসনকে আদালত ২৮৯ মিলিয়ন মার্কিন ডলার ক্ষতিপূরণ দেয়ার আদেশ দেন। এরই মধ্যে ২০১৮ সালে মনসান্টোকে জার্মান কৃষিভিত্তিক কোম্পানি বায়ার ক্রপ অধিগ্রহণ করে। কিন্তু আদালত বায়ারকে এ বিষয়ে অভিযুক্ত করেননি।
২০১৮ সালের শেষের দিকে নতুন অধিগ্রহণ করা Bayer AG Unit Monsanto-এর বিরুদ্ধে ক্যালিফোর্নিয়ার আরেকজন রাউন্ডআপ ভুক্তভোগী ক্যান্সার রোগী এডউইন হার্ডম্যানও মামলা দায়ের করেন। এ মামলায় বিচারকরা বৈজ্ঞানিক প্রমাণের ওপর বেশি গুরুত্ব দিয়েছিলেন এবং শেষ পর্যন্ত রায়ে বলেছেন, হার্ডম্যানের Non-Hodgkin’s Lymphoma-এর জন্য রাউন্ডআপ বিশেষভাবে দায়ী। কিন্তু এ মামলায় মনসান্টোর বিরুদ্ধে আরো গুরুতর অভিযোগ তুলেছেন হার্ডম্যানের আইনজীবী এইমি ওয়াগস্টাফ। তিনি বলেছেন, আদালত শুধু বৈজ্ঞানিক প্রমাণের ওপর গুরুত্ব দেয়ার কারণে মনসান্টো তার পরিচিতদের মাধ্যমে রেগুলেটর এবং বিশেষ করে এনভায়রনমেন্টাল প্রটেকশন এজেন্সির সঙ্গে সম্পর্ক তৈরি করে বিচারকে প্রভাবিত করার চেষ্টা করেছে। মনসান্টোর ‘ভুতুড়ে বৈজ্ঞানিক’ প্রতিবেদনও প্রস্তুত করা হয়।
প্রথম রায়ের আট মাসের মধ্যে ২০১৯ সালের মার্চে দেয়া দ্বিতীয় রায়েও প্রমাণিত হয়, রাউন্ডআপের কারণেই হার্ডম্যানের Non-Hodgkin’s Lymphoma ক্যান্সার হয়েছে। এভাবে লাইন ধরে থাকা সানফ্রান্সিসকোর এ আদালতে আরো ৭৬০টি মামলার ভবিষ্যৎ নির্ধারণ হয়ে যাবে। যুক্তরাষ্ট্রে সানফ্রান্সিসকো ছাড়া অন্যান্য স্টেটে প্রায় ১১ হাজার ২০০টি রাউন্ডআপ মামলা চলছে।
আন্তর্জাতিক মনসান্টো ট্রাইব্যুনাল অনুষ্ঠিত হয়েছিল ২০১৬ সালের ১৫ ও ১৬ অক্টোবর, নেদারল্যান্ডসের রাজধানী দ্য হেগে। দুই দিনব্যাপী ট্রাইব্যুনালে শত শত দর্শক উপস্থিত হয়েছিল ইনস্টিটিউট অব সোস্যাল স্টাডিসের (আইএসএস) সম্মেলন কক্ষে। পাঁচজন আন্তর্জাতিক খ্যাতিসম্পন্ন বিচারকের সামনে বিশ্বের পাঁচটি মহাদেশের ৩০ সাক্ষী ও বিশেষজ্ঞ তাদের বক্তব্য তুলে ধরেন। এর মধ্যে বাংলাদেশের পক্ষ থেকে আমিও বিটি বেগুনের অনৈতিক প্রবর্তনের বিরুদ্ধে সাক্ষ্য দিয়েছি। বিভিন্ন দেশ থেকে আসা মনসান্টোর প্রাণবিধ্বংসী কুকর্মের অভিযোগ ট্রাইব্যুনালের বিচারকরা শুনেছেন। এ ট্রাইব্যুনালের বিচারকদের রায় প্রকাশ করা হয় ২০১৭ সালের এপ্রিলের ১৮ তারিখে। এ রায়ে তারা মনসান্টোকে ‘গিলটি অব ইকোসাইড’ বা পরিবেশবিধ্বংসী অপরাধী বলে ঘোষণা দেন। বিশেষ করে মারাত্মক ক্ষতিকর গ্লাইফোসেটযুক্ত রাউন্ডআপের ব্যবসার মাধ্যমে মানবতা ও পরিবেশবিরোধী অপরাধের সঙ্গে যুক্ত বলে চিহ্নিত করেন। এ ট্রাইব্যুনালে মনসান্টোকে আত্মপক্ষ সমর্থনের সুযোগ দেয়ার জন্য আমন্ত্রণ জানানো হয়েছিল, কিন্তু তারা আসেনি। সম্ভবত সে নৈতিক সাহস তাদের ছিল না।
এ ট্রাইব্যুনালের মাধ্যমে সারা বিশ্বে মনসান্টোর উদ্ভাবিত জিএম ফসল ও তার সঙ্গে ব্যবহার হওয়া মনসান্টোর উৎপাদিত আগাছানাশক গ্লাইফোসেটভিত্তিক রাউন্ডআপ ও রাউন্ডআপ রেডি কীভাবে জনস্বাস্থ্য, পশুস্বাস্থ্য, মাটির স্বাস্থ্য, প্রাণবৈচিত্র্য ও পরিবেশের ক্ষতি করছে, তার বিস্তর উদাহরণ, বর্ণনা ও সাক্ষ্য দেয়া হয়। বিশেষ করে জিএম সয়াবিন, জিএম ক্যানোলা, জিএম ভুট্টা উৎপাদন করতে গিয়ে আমেরিকা, কানাডা, ফ্রান্স, ব্রাজিলসহ বিভিন্ন দেশে কৃষকরা স্বাস্থ্যগতভাবে কতটা ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন, তার মর্মান্তিক বর্ণনা তুলে ধরা হয়।
বিভিন্ন দেশের সাক্ষ্য থেকে জানা যায়, এ আগাছানাশক ব্যবহারে মানুষ নানাভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। কিন্তু ভুক্তভোগীরা কোথাও বিচারের জন্য যেতে পারছেন না। তাদের অনেকের সে আর্থিক সংগতিও নেই। যেখানেই কেউ কোম্পানির বিরুদ্ধে মামলা করেছে, তারা আদালতের বাইরেই মামলাকারীর সঙ্গে বোঝাপড়া করে মামলা তুলতে বাধ্য করেছে। এভাবে মনসান্টোর বিরুদ্ধে কোনো প্রকার আইনি প্রক্রিয়া নেয়ার উদাহরণ সৃষ্টি করা যায়নি। আইনিভাবে তাদের যেন কেউ ধরতে না পারে তার জন্য মনসান্টো প্রতি বছর বিশাল অংকের অর্থ ব্যয় করে। তাদের মুনাফা ঠিক রাখতে গিয়ে যদি দু-একজন ভুক্তভোগীকে হাজার হাজার ডলার ক্ষতিপূরণ দিতে হয়, মনসান্টো তা করতেও পিছপা হয় না। কিন্তু তারা তাদের ক্ষতিকর পণ্য জিএম বীজ, রাউন্ডআপ রেডি ইত্যাদি বাজারজাত করা থেকে বিরত থাকেনি।
মনসান্টো ট্রাইব্যুনালের মাধ্যমে প্রতিষ্ঠিত হয়েছে যে বহুজাতিক কোম্পানির উৎপাদিত বিষাক্ত রাসায়নিক দ্রব্য যেমন Roundup (Glyphosate), Basta (Glufosinate), Neonicotinoids, atrazine-সহ বিভিন্ন কীটনাশক ও আগাছানাশকের কারণে বহু ক্ষতি হচ্ছে। যেমন মাটি ও পানি নষ্ট হয়েছে, মৌমাছি হারিয়ে যাচ্ছে, অন্যদিকে ক্যান্সার, শ্বাসকষ্ট এবং বিশেষ করে বিকলাঙ্গ শিশুর জন্ম হওয়ার ঘটনা বেড়ে গেছে।
বাংলাদেশে মনসান্টোর নাম গত কয়েক বছরে জিএম খাদ্য ফসল বিটি বেগুনের প্রসঙ্গে শোনা যায়। এটি একটি ব্যর্থ প্রযুক্তি। অথচ এ দেশের কৃষকদের ওপর চালিয়ে দিয়ে এর মাধ্যমে পরিবেশ ও মানবস্বাস্থ্যের যে ঝুঁকি সৃষ্টি করছে, তা গ্লাইফোসেটের মতোই একদিন বেরিয়ে আসবে। বণিক বার্তায় প্রকাশিত প্রতিবেদনে যে তথ্য এসেছে, তাতে বোঝা যাচ্ছে মনসান্টো গ্লাইফোসেটের ব্যবসা অন্যান্য দেশে যত সংকুচিত হয়ে আসছে, বাংলাদেশে তা ক্রমেই বাড়ছে। এর আমদানি বাড়ছে। এখন তা চা বাগান থেকে অন্যান্য এলাকায় এবং অন্যান্য ফসলে ছড়িয়ে পড়েছে। চা বাগানেও গ্লাইফোসেটের ব্যবহার নিয়ে তথ্য গোপন করা হচ্ছে। চা শ্রমিকরা অনেক রোগে ভুগছেন, তাদের কোনো চিকিৎসাও হয় না।
আর যারা ভাবছেন মনসান্টোর মতো কোম্পানির বিরুদ্ধে জনমত সৃষ্টি এবং আমাদের প্রাণ-প্রকৃতি ও পরিবেশের সর্বনাশের বিরোধিতা আমরা করব না, তারা কি আদৌ নিরাপদ? নীতিনির্ধারকদের সভায় যে চা পরিবেশিত হয়, সেটা ক্যান্সারের কারণ হতে পারে।
আবারো জানাই, চা বাগানে গ্লাইফোসেট ব্যবহার করা হয়।