ফরিদা আখতার || Saturday 28 November 2015
খাদ্যফসলে জেনেটিক ইঞ্জিনিয়ারিংয়ের ব্যবহার সম্পর্কে পক্ষে-বিপক্ষে মতামত বিজ্ঞানীদের তর্কের বাইরে সামাজিক পর্যায়েও চলে এসেছে। জেনেটিক ইঞ্জিনিয়ারিংয়ের সংক্ষেপ নাম জিএমও বললে এখন অনেকেই বুঝতে পারেন। এবং বুঝতে পেরে সবাই যে আস্থা পান তা নয়। জিএমও ছাড়াই তো এ দেশে কৃষিফসল উত্পাদন কম হয়নি। আধুনিক কৃষি মাধ্যমে উচ্চফলনশীল জাত আনা হয়েছে, এর পর এসেছে হাইব্রিড। এগুলো উত্পাদনের পরিসংখ্যানে অনেক টন যোগ করেছে। কিন্তু রাসায়নিক সার ও কীটনাশক ব্যবহারও নির্বিচারে বেড়েছে সেই টন ধরেই। তাই তো এখন আর খাদ্যনিরাপত্তা অর্জিত হয়েছে বলে থেমে থাকা যাচ্ছে না, প্রশ্ন উঠছে খাদ্য নিরাপদ কিনা। খাদ্য বেশি আছে ঠিকই, কিন্তু নিরাপদ নেই।
এ পরিস্থিতিতে জিএম ফসল কতখানি নিরাপদ, তা তো গবেষণাই করা হচ্ছে না। এটা বুঝি একটা ‘আলৌকিক বিজ্ঞান’। এটা করলে ‘মিরাকলে’র মতো কিছু ঘটে যাবে— এমন কথাই ভাবা হচ্ছে কিংবা আমাদের বোঝানো হচ্ছে। যেমন— বেগুনের ক্ষেত্রে বলে দেয়া হলো, জিএম বেগুন (যা বিটি বেগুন নামে পরিচিত) কীটনাশকমুক্ত। সাধারণ মানুষ এখন কীটনাশক ব্যবহারে বিরক্ত। তাই তারা মনে করল, ভালোই তো! আসলে তা মোটেও নয়। বিটি বেগুনে শুধু ডগা ও ফল ছিদ্রকারী পোকার জন্য কীটনাশক দেয়া হয় না, বাকি সব পোকার জন্যই দেয়া হয়। তাহলে বিটি বেগুন কীটনাশকমুক্ত হয় কী করে? কৃষকদের গত দুই মৌসুমে চারা ধরিয়ে দেয়া হয়েছিল তাদের জমিতে চাষের জন্য, কিন্তু তারা মোটেও সফল হতে পারেননি। সেটা সরকার নিজেও জানে। তাদেরই তদারকিতে চাষ করে বাংলার এ শ্যামল মাটিকে বশে আনা যায়নি। বিটি বেগুন এ মাটির জন্য নয়। শুধু বাংলার মাটি নয়, বিশ্বের অনেক দেশেই এখন জিএম ফসল জনপ্রিয়তা হারাচ্ছে। পাশের দেশ ভারতে বিটি তুলার কাহিনী বড় করুণ। এখানে কৃষকের আত্মহত্যার ঘটনা দিন দিন বাড়ছে। ইউরোপের বিভিন্ন দেশ সিদ্ধান্ত নিচ্ছে, তারা জিএম ফসল উত্পাদন করবে না।
https://uk.news.yahoo.com/most-eu-nations-seek-bar-gm-crops-145652899.html#0IuTxZs. এএফপির খবরে বলা হয়েছে যে ২৮টি ইউরোপীয় ইউনিয়নভুক্ত দেশের মধ্যে ১৯টি তাদের দেশে জিএম ফসল উত্পাদন করবে না বলে ৩ অক্টোবর সিদ্ধান্ত নিয়েছে। এর মধ্যে অস্ট্রিয়া, নেদারল্যান্ডস, পোল্যান্ড, ইতালি, হাঙ্গেরি, গ্রিস, বুলগেরিয়াসহ ১৯টি দেশ রয়েছে। ডেনমার্ক, লুক্সেমবার্গ, স্লোভেনিয়া ও মাল্টা পরে আবেদন করেছে যে তারাও জিএম ফসল উত্পাদন থেকে বেরিয়ে আসতে চায়। বেলজিয়ামও সে ইচ্ছা প্রকাশ করেছে। এদিকে ব্রিটেন, স্কটল্যান্ড ও ওয়েলস এবং উত্তর আয়ারল্যান্ডও নিষেধাজ্ঞা জারি করছে। তাহলে জিএম ফসল বাংলাদেশের মতো দেশে না করে উপায় কী? কোম্পানির তো খেয়ে-পরে বাঁচতে হবে? শুধু এশিয়ার দেশ নয়, এখন আফ্রিকা ও দক্ষিণ এশিয়ার দেশগুলো জিএম ফসলের আগ্রাসনের মধ্যে পড়বে। কারণ আমাদের ভাগ্যই হলো, অন্যরা যখন বাতিল করে দেয় তখনই আমরা পাই। কী সৌভাগ্য আমাদের!!
বিটি বেগুন এশিয়ার মধ্যেই অন্য দেশে চাষ করতে দেয়া হলো না এর পরিবেশ ও স্বাস্থ্যঝুঁকির ব্যাপারে নিশ্চয়তা পাওয়া যায়নি বলে। কিন্তু আমাদের দেশে বিটি বেগুন চাষের বিরুদ্ধে নানা ধরনের আপত্তি ও আকুতি থাকা সত্ত্বেও কৃষক পর্যায়ে চাষ করতে দেয়া হলো। প্রথম ২০ জনের মধ্যে কমপক্ষে ১৬ জন কৃষক স্পষ্টভাবে সরকারকেও জানালেন, তাদের ক্ষতি হয়েছে। কিন্তু সে ব্যাপারে কোনো উদ্যোগ না নিয়েই পরবর্তী ধাপে তাদের বাদ দিয়ে আরো ১১৬ জনকে চাষ করেতে দেয়া হলো। এখানেও ফেল। তবুও পরিকল্পনা এগিয়ে যাচ্ছে। আগামী মৌসুমে নাকি আরো দেয়া হবে। কেন, কোন যুক্তিতে?
বেগুন একটি গুরুত্বপূর্ণ এবং সব শ্রেণীর মানুষের অতি প্রিয় ও জরুরি সবজি। দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে সুন্দর সুন্দর নামের বেগুন আছে। তারই মধ্যে ৯টি বেগুনে বিটি জিন ঢুকিয়ে জিএম প্রযুক্তি ব্যবহার করেছে বহুজাতিক কোম্পানি মনসান্তো তার ভারতীয় অংশীদার মাহিকোর মাধ্যমে। আর আমাদের দেশের কৃষি গবেষণা প্রতিষ্ঠান তাদের হাতে দেশের ৯টি বেগুনের জাত তুলে দিয়েছে। এসব বেগুনের মালিকানাও নিয়ে নেয়া হয়েছে চুক্তি করে। বাংলাদেশ বেগুনের আদি উত্পত্তিস্থলের অন্তর্গত একটি দেশ। এ সবজি রক্ষার ক্ষেত্রেও কি কোনো নীতিমালা আমরা অনুসরণ করব না? আমরা নিজেদের সম্পদ নিজেরা কেন রক্ষা করতে পারব না?
বেগুনের ওপর জিএমওর চাপ যেতে না যেতেই আসছে ধানের ওপর জেনেটিক ইঞ্জিনিয়ারিংয়ের চাপ। ‘গোল্ডেন রাইস’ নামে একটি ধান, যাকে ভিটামিন ‘এ’ সমৃদ্ধ বলে দাবি করা হচ্ছে, তা মূলত ধানের ওপর দখলদারী ছাড়া আর কিছু নয়। গত ৩০ সেপ্টেম্বর ক্রপ বায়োটেকনোলজির ন্যাশনাল টেকনিক্যাল কমিটি বাংলাদেশ ধান গবেষণা ইনস্টিটিউটকে (BRRI) নিয়ন্ত্রিত মাঠ গবেষণা (confined field trials) বিআর-২৯ ধানকে গোল্ডেন রাইস হিসেবে চাষ করার অনুমতি দিয়েছে। খবরটি প্রকাশিত হয়েছে ৮ অক্টোবর দৈনিক ডেইলি স্টারে এক বিরাট শিরোনামে— Bangladeshi scientists readz for trial of world’s first ‘Golden Rice’। খবরটিতে লক্ষণীয় বিষয় হচ্ছে, এখানে এমনভাবে দেখানো হচ্ছে যেন এ দেশের বিজ্ঞানীরাই ধানটি আবিষ্কার করেছেন বাংলাদেশের প্রয়োজনে। এবং পৃথিবীর প্রথম গোল্ডেন রাইস এখানে উত্পাদন হচ্ছে যেনবা খুব একটা গর্বের বিষয়।
ভিটামিন এ সমৃদ্ধ ধান বললে স্বাস্থ্য নিয়ে যারা কাজ করেন তারা স্বাগত জানাতেও পারেন। কিন্তু এটাও জানি, আমরা ধানের মাধ্যমে ভিটামিন এ খাই না। আমাদের দেশে প্রচুর শাকসবজি রয়েছে, যা ভিটামিন এ সমৃদ্ধ, বিশেষ করে হলুদ রঙের সবজি ও ফল। যেমন— মিষ্টি কুমড়া, গাজর, পাকা পেঁপে, বাঙ্গি, কাঁঠাল, আম, কলা আছে। অনেক ধরনের শাক যেমন— কাঁটানটে, সজিনা পাতা, কলমি, পুঁইশাকসহ আবাদি ও অনাবাদি শাক রয়েছে। চালের মধ্যে ভিটামিন এ আলাদা করে ঢোকানোর দরকার নেই, ঢেকিছাঁটা চালের মধ্যে ভিটামিন এ পর্যাপ্ত পরিমাণে রয়েছে। এত সব থাকতে গোল্ডেন রাইসের প্রবর্তন যথেষ্ট উদ্বেগের কারণ হয়ে দাঁড়ায়। তাছাড়া ভিটামিন এ ঘাটতির কারণে রাতকানা রোগ হয় ঠিক, কিন্তু এখনো এ সমস্যা খুব বড় ধরনের পুষ্টি ঘাটতির কারণ হয়ে দাঁড়ায়নি যে সাধারণ ব্রি-২৯ ধানকেই হলুদ বানিয়ে দিতে হবে! ক্লিনিক্যাল সমস্যা হিসেবে ভিটামিন এ ঘাটতি দেখা দিলে, সেটার চিকিত্সাও আছে। ব্রি-২৯ ধানকে ভিটামিন এ সমৃদ্ধ করা হলে তা সব মানুষ খাবে; যার ঘাটতি নেই, সেও খাবে। তাহলে সেটা কি সঠিক হবে নাকি ব্রি-২৯ ধানকে এখন ওষুধ হিসেবেই রেখে দেয়া হবে! তাহলে মানুষ স্বাভাবিক খাবার হিসেবে কোনটা খাবে?
জেনেটিক ইঞ্জিনিয়ারিংয়ের মাধ্যমে খাদ্য পণ্যকে ভিটামিন এ সমৃদ্ধ করার প্রক্রিয়া হচ্ছে। তাহলে আর সব জিএম ফসলের মতোই গোল্ডেন রাইসও অজানা ক্ষতির শঙ্কামুক্ত নয় এবং এর মধ্যে বৈজ্ঞানিক গবেষণার সব নৈতিক শর্ত মানা হয়েছে কিনা এবং আন্তর্জাতিক চুক্তিগুলোর মধ্যে পরিবেশ ও স্বাস্থ্য সুরক্ষার জন্য যে ব্যবস্থা ছিল, তাও মেনে চলা হয়েছে কিনা, আমাদের জানা নেই। আজ পর্যন্ত কোনো প্রতিবেদনে গোল্ডেন রাইস গবেষণার প্রাথমিক ফলাফল তুলে ধরে পরিবেশবাদী ও স্বাস্থ্যকর্মীদের আশ্বস্ত করা হয়নি।
বাংলাদেশের মানুষ ব্রি-২৯ এর সঙ্গে পরিচিত। বোরো মৌসুমে উত্পাদিত এ ধান দেখতে সাদা এবং ব্যাপকভাবে চাষ হয়। মানুষ তা খায়। এ ধানের পুষ্টিমান ঠিক আছে কিনা, সে বিষয় নিয়ে বিতর্ক হতে পারে। কিন্তু এ ধানকেই যখন গোল্ডেন রাইস বলে ছবিতে হলুদ রঙ দেখি, তখন একটু থমকে যেতে হয়। এটা আর আমাদের সেই অতিচেনা ব্রি-২৯ নেই। সিনজেন্টা কোম্পানির তৈরি জিএম ধান গোল্ডেন রাইস। গোল্ডেনের বাংলা হবে সোনালি। কিন্তু এখনো বাংলায় সোনালি ধান বলতে শোনা যায়নি। সম্ভবত বাংলায়ও গোল্ডেন রাইস হয়ে থাকবে। কিন্তু আসলে তো ভিটামিন ‘এ’র উত্স হতে হলেও এর রঙ হলুদ হওয়ার কথা। আমরা জানি, এ গোল্ডেন রাইসের মধ্যে ব্রি-২৯, ফিলিপাইনে অবস্থিত আইআর-৬৪ এবং ফিলিপাইনের একটি জাত আরসি-২৮ এর সঙ্গে ভুট্টার জিন ঢুকিয়ে বিটা কেরোটিন (যা ভিটামিন এ সৃষ্টি করবে) দেয়া হয়েছে। ভুট্টা হলুদ রঙের কিন্তু ভিটামিন এ প্রাকৃতিকভাবে শুধু হলুদ রঙের শাকসবজি থেকে নয়, গাঢ় সবুজ থেকেও পাওয়া যায়। কাজেই গোল্ডেন নাম দিয়ে কোম্পানি সাধারণ মানুষকে বিভ্রান্ত করছে।
ডেইলি স্টারের প্রতিবেদন থেকে জানা যাচ্ছে, এ বোরো মৌসুমেই GR-2 E BRRI dhan29 মাঠপর্যায়ে চাষের জন্য দেয়া হবে। কিন্তু কিসের ভিত্তিতে? কোন প্রতিবেদনে আছে যে গোল্ডেন রাইস মাঠপর্যায়ে গবেষণার জন্য উপযুক্ত প্রমাণিত হয়েছে? বিটি বেগুনের ক্ষেত্রে কোনো প্রতিবেদন ছাড়াই চাষ করা গেছে বলে গোল্ডেন রাইসও করা যাবে? এ ধান বাংলাদেশের কোটি কোটি কৃষকরা আবাদ করেন। যদি এ ধানের স্বত্ব বিদেশী কোম্পানির হাতে চলে যায় তাহলে এত কৃষকের ভাগ্যে কী ঘটবে?
প্রতিবেদনে একটি তথ্য বেশ তাত্পর্যপূর্ণ। বলা হচ্ছে, ‘একজন প্রাপ্তবয়স্ক মানুষ ১৫০ গ্রাম গোল্ডেন রাইস খেলে তার জন্য প্রয়োজনীয় ডোজের ভিটামিন এ পাবে। বাংলাদেশের মানুষ তাদের ক্যালরি গ্রহণের ৭০ শতাংশই পায় ভাত থেকে।’ তাহলে কি যার শরীরে ভিটামিন এ ঘাটতি নেই, সেও একই পরিমাণে গোল্ডেন রাইস খাবে? যারা পুষ্টি অভাবে দৃষ্টিশক্তির ক্ষতি হয় বলে কাজ করেন, তাদের প্রধান পরামর্শ হচ্ছে— খাদ্যকে বৈচিত্র্যপূর্ণ করা। শুধু ভাত খেয়ে কখনই পুষ্টি ঘাটতি দূর হবে না।
মনে রাখতে হবে আমরা ‘ভেতো বাঙ্গালী’ বটে, কিন্তু শুধু ভাত খেয়ে থাকি না। ভাতের সঙ্গে শাকসবজি, ছোট মাছ, একদম কিছু না থাকলে একটু মরিচের ভর্তা দিয়ে হলেও খাই। কোম্পানি শুধু দেখে আমাদের পেট আছে, কিন্তু এ পেটে খাদ্য যেতে হলে জিহ্বা ছুঁয়ে যেতে হবে। আর বাংলাদেশ ছোট দেশ হলে কী হবে? এলাকাভেদে খাওয়ার ধরন ও পছন্দ আলাদা। ভিন্ন ভিন্ন পরিবেশে যদি স্বাদ না লাগে তাহলে কোনো দিন এ খাদ্য গ্রহণযোগ্য হবে না। ওষুধ হিসেবে নিম তিতাও খাওয়া যায়, কিন্তু নিয়মিত খাদ্য স্বাদ ছাড়া গ্রহণ করা যাবে না। কাজেই ভিটামিন এ ঘাটতি যা আছে, তা সমাধানের পথ হচ্ছে শাকসবজির বৈচিত্র্য বাড়িয়ে দেয়া। বাংলাদেশে এককাট্টা কিছু চালিয়ে দেয়া অত সহজ নয়।
গোল্ডেন রাইসের পক্ষে যুক্তি দিতে গিয়ে এবার নতুন একটি তথ্য বলা হচ্ছে— এ চাল গর্ভবতী মায়েদের বেশি দরকার হবে। অথচ ভারতের বিজ্ঞানী ড. তুষার চক্রবর্তী সম্প্রতি এক সভায় সাবধান করে দিয়ে বলেছেন, ‘এ ধানের মধ্যে রেটিনিক এসিডের ডিরাইভেটিভ আছে, যা গর্ভবতী নারী খেলে তার সন্তানের জন্মগত ত্রুটি (birth defects) ঘটতে পারে, যাকে মেডিকেল ভাষায় teratogenicity বলা হয়।
বাংলাদেশ ধানের আদি নিবাস। ১৯১৫ সালে এ দেশে ১৫ হাজার জাতের ধান ছিল। এখনো¬ কমপক্ষে সাড়ে ৭ হাজার জাতের জাত ধান গবেষণা প্রতিষ্ঠানেই আছে, নয়াকৃষি কৃষকদের হাতে আছে ৩ হাজার জাতের ধান। আমাদের কি আর অন্য ধানের দরকার আছে? এখানে কৃষক বলতেই ধান উত্পাদন করেন। কাজেই ধানের দেশে ধানের ওপর জিন কারিগরি বা বিকৃতি ঘটানো কোনো দায়িত্বশীল কাজ হতে পারে না। পৃথিবীর বিভিন্ন দেশে জিএম ধান তথা জিএম ফসলের নেতিবাচক প্রভাবের বিরুদ্ধে জনমত গড়ে উঠেছে। অথচ দুঃখের বিষয় হচ্ছে, বাংলাদেশে অনায়াসে ছাড় দেয়া হচ্ছে বিটি বেগুনের মতো গোল্ডেন রাইসও। অন্য দেশে ছাড় পায়নি, তাই এখানে আসছে। এ ধান প্রবর্তনের চেষ্টার প্রথম থেকে ফিলিপাইনসহ এশিয়ার বিভিন্ন দেশে পরিবেশবাদীরা প্রতিবাদ করেছেন। বাংলাদেশেও ২০০৫ সাল থেকে প্রতিবাদ জারি আছে। তখন ভিন্ন সরকার ছিল, কিন্তু এক্ষেত্রে কেন তারা একমত?
গোল্ডেন রাইস নাম দিয়ে জিএম ধানের প্রবর্তন অনেক আশঙ্কার সৃষ্টি করেছে। এসব প্রশ্নের নিরসন না করে সরকার যেন মাঠপর্যায়ে না যায়, তার আহ্বান জানাই।