বিদ্যুৎ গেছে ত্বরিৎ গতিতে, তদন্ত হচ্ছে ‘কেরোসিন’ গতিতে

ফরিদা আখতার || Saturday 08 November 2014

সবাই বলে দাঁত থাকতে দাঁতের মর্যাদা কেউ বঝে যা, তেমনি সুইচ টিপলেই যেহেতু লাইট জ্বলে ওঠে, ফ্যান ঘুরতে শুরু করে, কম্প্যুটারে কাজ করা যায়, লিফটে দশ-বারো তলায় ঝটপট ওঠা যায়, টেলিভিশন চলে এমনকি রাইস কুকারে ভাতও রান্না হয়ে যায়, তখন মোটেও বোঝা যায় না এই বিদ্যুৎ কোথা থেকে আসছে। ভেড়ামারায় সমস্যা হোল নাকি আশুগঞ্জে তাও কেউ জানে না। জানার দরকারও মনে করে না। বিদ্যুতের মর্যাদা কেউ বোঝে না। মাসে মাসে বিদ্যুতের বিল দেয় তাতেই বিদ্যুৎ আসে এই তো কথা। ঢাকা শহরে সাধারণ মানুষ বিদ্যুৎ বলতে শুধু লাইট, ফ্যান ও টেলিভিশনই বোঝে, এইটুকু তারা সবসময় পায় না, কারণ লোড শেডিং হলে গরিব, নিম্ন বিত্ত ও মধ্যবিত্তদের এলাকাতেই হয়। ধনীরা মোটেও তের পান না, কারণ বিদ্যুৎ তাদের এলাকায় কম যায়, আর গেলেও মুহুর্তে বিকল্প ব্যবস্থা হয়ে যায়।

যারা কারাকানায় কাজ করে তাদের জন্যেও বিদ্যুৎ জরুরী। বিদ্যুৎ না থাকলে মেশিন ঘোরে না, শ্রমিকের কাজ বন্ধ থাকে। জেনারেটরে বেশীক্ষণ সামলানো সম্ভব হয় না। অফিসেও সব কম্প্যুটার জেনারেটরে চলে না। তাই বসে থাকতে হয়। বিদ্যুৎ ছাড়া অন্য কাজ করার অভ্যাস অনেকের গড়ে ওঠে নাই। তাই তারা বসে থাকে, আড্ডা দেয়। বিষয় একটাই, “হায় বিদ্যুৎ”। হা-হুতাশের শেষ নাই, করারও কিছু নাই।

নভেম্বর মাসের এক তারিখে দেশব্যাপী বিদ্যুৎ বিপর্যয় হয়েছে। একই সাথে সারা দেশ বিদ্যুৎ বিহীন অবস্থায় ছিল প্রায় ১০ ঘন্টা। এমনটি আমাদের জানামতে আগে ঘটেনি। প্রথম এক দুই ঘন্টায় আমাদের মধ্যে তেমন প্রতিক্রিয়া হয় নি, মনে হয়েছে লোড শেডিং হচ্ছে। প্রায় সময় তো হয়। বিকল্প হিশেবে জেনেটরের বিকট শব্দ শুনতেও আমরা অভ্যস্থ হয়ে পড়েছি। কিন্তু একপর্যায়ে দেখা গেল জেনারেটর বন্ধ করে দেয়া হয়েছে কিন্তু তবুও বিদ্যুতের দেখা নেই। তখন খোঁজ খবর নিয়ে জানা গেল দেশের অনেক জায়গায় বিদ্যুৎ নেই। দিনের বেলা অনেকেই উপলবদ্ধিই করতে পারেন নি দেশটা অন্ধকারে ঢেকে যাচ্ছে। সুর্যের আলো নিভতেই তা বোঝা গেল। আরও বুঝেছেন যারা গাড়ীতে গ্যাস নিতে গেছেন কিন্তু বিদ্যুৎ নেই বলে তাদের গ্যাস নেয়া হোল না। পেট্রোল পাম্পে গাড়ীর ভিড় হলেও তারা নিয়ে এসেছেন ডিসেল বা পেট্রোলের পাত্র জেনারেটর চালাবার জন্যে। প্রতিদিন নিশ্চয়ই জেনারেটরের তেল বিক্রি হয় কিন্তু তা এতো দীর্ঘ লাইন আকারে দেখা যায় নি। বিদ্যুৎ না থাকায় জেনারেটর ছাড়া গতি নাই। বিশেষ করে ঢাকা শহরের বহুতল ভবনে লিফট চালাতে হলে জেনারেটর ছাড়তেই হবে।

সকাল থেকে দ্রুত গতিতে খবর ছড়াতে লাগলো, আর বিদ্যুৎ তো তার ত্বরিৎ গতি রক্ষা করে দেশের সব ঘর বাড়ী, অফিস আদালত, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান, হাসপাতাল, বিমান বন্দর, রেলওয়ে স্টেশান, কোথাও একটু দয়া না করে বিপর্যয় ঘটালো। সে গেছে তো গেছেই। এই সময় মোবাইল ফোন, আই প্যাড, স্মার্ট ফোন ব্যবহার করে অন-লাইন পত্রিকায় খবর পড়েছি আমি নিজে, এবং আরও অনেকেই। এভাবে কিছুটা তথ্য জানা গেল। প্রাথমিক তথ্য অনুযায়ী ভারতের কাছ থেকে যে বিদ্যুৎ নেয়া হয় সেই সংযোগে সমস্যা হয়েছে। এই খবরটিও ত্বরিৎ গতিতে পাওয়া গেছে। তবে মোবাইল ফোন, আই প্যাড ইত্যাদীরও মেয়াদ নির্ভর করছে বিদ্যুতের ওপর। চার্জ শেষ হবার আগে বিদ্যুৎ আসবে তো?



একসময় রাতে বিদ্যুতের দেখা পাওয়া গেল। ইতিমধ্যে অনেকে ঢাকা শহরে বিরল দৃশ্য চাঁদ দেখে নিয়ে খুশিতে আছেন। একে অপরের কাছ থেকে জেনে নিচ্ছে তাদেরটা আসছে কিনা। না, সবার এক সাথে আসে নি। রেশন করে দেয়া হয়েছে। অনেক বাড়ীতেই পানি তোলা হয় নি। বিদ্যুৎ আসতেই প্রথম কাজ পানি তোলা। সে কারণে ভাগ ভাগ করে বিদ্যুৎ দেয়ার পরিকল্পনা ভালই ছিল।

ঘটনা বহুল দিনটি পার করে রাতও কাটলো। বাংলাদেশের মানুষ বাহবা পেলো একটি চুরি-ডাকাতি-ছিনতাইয়ের ঘটনা ঘটে নি, কোন রকম নাশকতার খবর পাওয়া যায়নি। এতে অনেকে অবাক হয়েছেন, বাংলাদেশের মানুষ এতো ভাল! তারা বোঝেন না, নাশকতা-রাহাজানি তো বিদ্যুতের থাকা না থাকার ওপর নির্ভর করে না। দিনে দুপুরে, পুলিশের চোখের সামনেই ঘটে যায়। রাতে ফকফকা বিদ্যুতের আলোর মধ্যে ঘটে। তবে এই ঘটনায় এটুকু বোঝা্র আছে যে সাধারণ মানুষ কখনও এই সব কাজ করে না। যারা করে তাদের জন্যে বিদ্যুৎ থাকা না থাকা কোনো বিশেষ অর্থ বহন করে না।

এখন জানতে সবাই উৎসুক আসলে এভাবে সারা দেশ এক সাথে এবং এতোক্ষণ ধরে বিদ্যুৎহীন হয়ে থাকলো কেন? সারাদিন সরকারের পক্ষ থেকে কোন ব্যাখ্যা পাওয়া যায় নি। এখন পর্যন্ত বিদ্যুতের বিকল্প ‘কেরোসিন’ গতিতে তথ্য আসছে। একটু আলো, একটু আঁধারীতে। তবুও ১ তারিখ থেকে পাওয়া সব তথ্য একখানে করে দেখা যাক কি জেনেছে জনগণ। জনগণ অন্ধকারের থেকেও শান্তি বজায় রেখে তাদের দায়িত্ব পালন করেছে, কিন্তু এখন কারণ জানার ক্ষেত্রে অন্ধকারে রাখার অর্থ কি?



বাংলামেইল২৪ডটকম শনিবার,১ নভেম্বর ২০১৪ (১২:২৬) জানায় যে ভারত থেকে আমদানি করা বিদ্যুৎ সঞ্চালনে সমস্যা দেখা দেয়ায় অন্ধকারে রয়েছে সারা বাংলাদেশ। পাওয়ার ডেভেলপমেন্ট বোর্ডের (পিডিবি) গণসংযোগ সেলের পরিচালক সাইফুল ইসলাম এই তথ্য দিয়েছেন।সরকারেরই সুত্র। তাঁর মতে ‘ভারত থেকে আনা বিদ্যুৎ সঞ্চালনে সমস্যা দেখা দেয়ায় সারাদেশ বিদ্যুৎবিচ্ছিন্ন। সাড়ে ১১টার দিকে এ ঘটনা ঘটে। এতে দেশের পাওয়ার স্টেশনগুলো একসঙ্গে বন্ধ হয়ে যায়।’

পাওয়ার গ্রিড কোম্পানি অব বাংলাদেশের (পিজিসিবি) ব্যবস্থাপনা পরিচালক জানিয়েছেন ভারত থেকে আমদানি করা বিদ্যুতের সরবরাহ হঠাৎ বন্ধ হয়ে যাওয়ায় ন্যাশনাল গ্রিড অকার্যকর হয়ে পড়েছে। ফলে আশুগঞ্জের ৬টি কেন্দ্রে উৎপাদন বন্ধ হয়ে যায়। আরো বিস্তারিত তথ্য হচ্ছে “ভারতের পশ্চিমবঙ্গ রাজ্যের বহরমপুর সাবস্টেশন থেকে আমদানি করা ৪৫০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ বাংলাদেশের কুষ্টিয়ার ভেড়ামারা সাবস্টেশন থেকে নিয়ন্ত্রণ ও সরবরাহ করা হয় জাতীয় গ্রিডে। ভারতের সাবস্টেশনে থেকে আসা দুটির একটা লাইন ‘বসে’ (টিপ) যাওয়ার কারণেই বাংলাদেশে সমস্যা দেখা দিয়েছে। জাতীয় গ্রিডে একটা লাইন থেকে সারা দেশে সরবরাহ করা হয় বলেই একটা আমদানি লাইনের সমস্যা পুরো সিস্টেমেই প্রভাব ফেলেছে। তবে এতে ভারতে কোনো সমস্যা হয়নি”।

এদিকে গত বছরের ২৭ সেপ্টেম্বর ভারতের সরকারি খাত থেকে আমদানি করা বিদ্যুৎ দেশের জাতীয় গ্রিডে সঞ্চালন শুরু হয়। কুষ্টিয়ার ভেড়ামারা গ্রিড উপকেন্দ্রে পরীক্ষামূলকভাবে ৫০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ জাতীয় গ্রিডে আসে। পরে দুই দেশের মধ্যে চুক্তি অনুযায়ী বিদ্যুৎ আমদানি পাঁচশ’ মেগাওয়াটে পৌঁছায়।

এই আমদানি চুক্তি কার্যকরী করতে বাংলাদেশের ভেড়ামারা এবং ভারতের পশ্চিমবঙ্গের বহরমপুরে সুইচ স্টেশন স্থাপন করা হয়। একইসাথে দুই দেশের জাতীয় গ্রিড লাইনের সংযোগের জন্য বসানো হয় ৯৮ কি.মি. সঞ্চালন লাইন।

এর পর শুরু হোল তথ্য বিলম্বের খেলা, এবং আলো-আঁধারীতে রাখার চেষ্টা। এটা সত্যি নয়, ওটা সত্যি নানারকম ব্যাখ্যা। তদন্ত প্রতিবেদনে এবার আলোর মুখ দেখবেই, সরকারের দৃঢ় ঘোষণাস। হতেই হবে কারণ তা যে বিদ্যুৎ সংক্রান্ত। আলো দেখবে না কেমন করে? এর মাধ্যমেই তো আলো জ্বলবে। কিন্তু তা কি শেষ পর্যন্ত হয়েছে? অধীর অপেক্ষার পর বিদ্যুৎ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ সাংবাদিকদের ডাকলেন ঠিকই, কিন্তু এটা বলার জন্যে যে “অভ্যন্তরীণ সমস্যার কারণে গ্রিড বিপর্যয় ঘটেছে; পূর্নাংগ প্রতিবেদন দিতে আরও ১০ কার্যদিবস সময় লাগবে তদন্ত কমিটির”। প্রতিমন্ত্রী বলেছেন, আমাদের নিজস্ব গ্রিডের মধ্যে কোনো এক জায়গায় সমস্যার কারণে সারা দেশে গ্রিড বিপর্যয় হয়েছে। কোন জায়গায় হয়েছে তা এখনও চিহ্নিত করা যায়নি। তবে ভারতীয় অংশে কোনো সমস্যা হয়নি।’ অর্থাৎ তার এই সংবাদ সম্মেলন ছিল মূলত এটা বলার জন্যে যে ভারতের কারণে নয় আমাদের নিজেদের ত্রুটির কারণেই বিপর্যয় হয়েছে। যদি তাই হয় সে কথা বুঝতে ছয় দিন লেগে গেল? এবং তা পুর্নাংগভাবে জানাতে আরও ১০ কার্য দিবস লাগবে। কেন? আশংকা করা হচ্ছে সমস্যা যে পর্যায়ে আছে আরো একবার এমন বিপর্যয় ঘটতে পারে। আমরা কি তার জন্যে তৈরি আছি? আগে থেকে কি জনগণ কিছু জানতে পারবে? সেদিনের সংবাদ সম্মেলনে প্রতিমন্ত্রির একটি কথা বেশ কৌতুহল উদ্দীপক মনে হয়েছে। তিনি বলেছেন ‘পুরো বিদ্যুৎ খাত এখনও আপগ্রেডিংয়ের মধ্যে আছে। টেকনোলজি আপগ্রেডিং একটা চলমান প্রক্রিয়া। আমাদের গ্রিডের প্রটেকশন সিস্টেম ভালো ছিল বলেই বড় ধরনের দুর্ঘটনা থেকে আমরা বেঁচে গেছি।‘ তাহলে আগে থেকে আঁচ করা সম্ভব ছিল যে গ্রিডের প্রটেকশন সিস্টেম ভালো থাকলেও টেকনোলজি আপগ্রেডিং-য়ের কারণে বিদ্যুত বিভ্রাট হতে পারে। সে কথা জনগণের জানা দরকার ছিল, তা করা হয়নি।

তদন্ত প্রতিবেদন দিতে গড়িমসি, কিংবা একটু আলো, একটু অন্ধকার ভাব দেয়ার কারণে জনমনে নানা জল্পনা কল্পনা শুরু হয়েছে। যদিও জানতে চাওয়ার আগ্রহ দেখালে বলা হয়, পৃথিবীর উন্নত দেশেও এমন হয়েছে কিন্তু সেখানে মানুষ এতো জল্পনা করে না। বাংগালীদের স্বভাবটাই একটু বেশী নাক-গলানোর। কিন্তু অন্য দেশে তথ্য দিতেও এতো দেরী হয় না। যখন তখন জানা যায়। তদন্ত প্রতিবেদন দিতে দেরী হওয়া এবং পুর্নাংগ প্রতিবেদন না দেয়াতে সংবাদ মাধ্যম গুলোও এখন প্রশ্ন তুলছে। এবং সরাসরি লুকোচুরির অভিযোগ আনছে। (পড়ুনঃ বিদ্যুৎ বিপর্যয়ের কারণ প্রকাশ নিয়ে লুকোচরি! আমাদের সময়.কম : ০৭/১১/২০১৪)তদন্ত কমিটির সদস্যরা আগের দিন জানিয়েছে তাঁরা এই বিদ্যুৎ বিপর্যয়ের পেছনে কিছু কারণ খুঁজে পেয়েছেন। আর প্রতিমন্ত্রী বলছেন ‘তদন্তে তারা এই বিদ্যুৎ বিপর্যয়ের পেছনে এখনও কোনও বিশেষ কারণ খুঁজে পাননি”। তবে তিনি বলছেন ‘দেশের পশ্চিম বা পূর্বাঞ্চলীয় গ্রিড বা কোনও বিদ্যুৎ কেন্দ্রের জন্য এই বিপর্যয় ঘটেনি। গ্রিডে আভ্যন্তরীণ সমস্যার কারণেই এই ঘটনা ঘটেছে।’ তাহলে আভ্যন্তরীণ সমস্যাটা কি? সেটাও প্রতিমন্ত্রী ঠিক মতো উত্তর দেন নি। সাংবাদিকদের তিনি এড়িয়ে গেছেন।

তদন্তে নিয়োজিত ব্যক্তিদের বাইরেও বাংলাদেশে অনেক বিশেষজ্ঞ রয়েছেন। আমাদের মতো সাধারণ মানুষদের কোন একটা ব্যাখ্যা দিয়ে ভোলানো যায় কিন্তু বিশষজ্ঞরা তো মানছেন না। তাঁরা প্রথম দিন থেকেই ব্যাখ্যা দিয়েছেন কি হতে পারে। কিন্তু তাঁরা যেহেতু তদন্ত কমিটিতে নেই তাঁদের ব্যাখ্যা সরকারী ভাষ্য হবে না। তদন্ত প্রতিবেন প্রতিক্রিয়াতে সরকারি একটি বিদ্যুৎ কেন্দ্রের সাবেক মহাপরিচালক বিডি রহমতুল্লাহ বলেছেন, ‘কোন বিদ্যুৎ কেন্দ্র থেকে প্রথম এই বিপর্যয়ের সূচনা হয় তা না প্রকাশ করার কোনও কারণ নেই। আমি নিশ্চিত এ ব্যপারে তাদের কাছে তথ্য রয়েছে। এ্ববং শুধু শুধুই তারা এ নিয়ে লুকোচরি খেলছে।’

তাঁর মতো আরও অনেক বিশেষজ্ঞ তাঁদের মত দিয়েছেন। এটা ঠিক যে তদন্ত প্রতিবেদন না আসার পেছনে অন্যতম কারণ হচ্ছে তদন্ত কমিটি নিজ বিভাগীয় ব্যক্তিদের নিয়ে গঠিত হয়েছে। প্রতিমন্ত্রী যদিও সাংবাদিকদের একটু খোঁচা দিয়েছেন, ‘অনেকেই বলেছেন তদন্ত প্রতিবেদন আলোর মুখ দেখবে না, এখন তা দেখা যাচ্ছে”। আমাদের প্রশ্ন, এই আলো বিদ্যুতের নাকি কেরোসিনের হারিকেনের?

সরকারের কর্তব্য হচ্ছে জনগণকে আর অন্ধকারে না রাখা।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *