চৈত্রসংক্রান্তি ও চৌদ্দ রকমের শাকের আনন্দ

ফরিদা আখতার || Wednesday 16 April 2014

বাংলা সনের বছর শেষ হয় চৈত্র মাসে, তারপরেই আসে বৈশাখ। নতুন বছরের শুরু। শহরের মানুষ ইংরেজি নববর্ষের অনুকরণে বাঙালি কায়দায় নতুন বছর বরণ করে নেয়। সেটা হয় উৎসবমুখর। আজকাল গ্রামেও সাদা শাড়িতে লাল পাড় ও পুরুষদের সাদা-লাল কাপড় পরে বর্ষ বরণ করার রীতি শুরু হয়েছে। আগে পোষাকের বিষয়টা এতো চোখে পড়েনি। গান, নাচ ও মেলায় যাওয়া, বাড়িতে বিশেষ রান্না – সব মিলে অর্থনীতি-সংস্কৃতির মধ্যে একটা মিলমিশ হয়ে গেছে। ব্যাবসায়িরা হালখাতা নিয়ে ব্যস্ত, সঙ্গে চলে মিষ্টি খাওয়ার ধুম।

তবে বাংলায় নববর্ষ বা নতুন বছর আসল ব্যাপার নয়, এটা শুধু ক্যালেন্ডার পরিবর্তনের বিষয়ও নয়। আসল বিষয় সংক্রান্তি। বাংলার গ্রামের সাধারণ মানুষ সময়কে মাস দিয়ে চেনে। বাংলা মাস হিশেবে চৈত্র, বা বৈশাখ এবং অন্যান্য বাংলা মাসের নাম না নিলে নির্দিষ্ট বিষয় নিয়ে কথা বলা যায় না। প্রতিটি মাসের সঙ্গে গাছপালা গ্রহ্নক্ষত্রের সম্পর্কে রয়েছে। কোন মাসে ফসল লাগাবার সময়, কোন মাসে মেয়েকে নাইওর আনার সময়, কোন মাসে পিঠা বানাতে হবে এবং আত্মীয়-স্বজনকে খাওয়াতে হবে সেটা বাংলা মাসের নাম ধরেই বলতে হয়।

অবশ্য বাংলার ভাবুকরা দেখেন অন্যভাবে। তাঁদের মতে ষড়ঋতু এই বাংলাদেশে বর্ষ বা বছর আছে অবশ্যই, কিন্তু বাংলার ভাব অনুযায়ী সরলরেখার মতো সময় বয়ে গিয়ে বছর শেষ হয়ে যায় না, বা নতুন কোন বছর আসে না। সরলরেখার সময় নয়, বরং ফিরে ফিরে প্রত্যাবর্তন করা ঋতুর ধারণাই আমাদের সময় সংক্রান্ত ধারণার ভারকেন্দ্র। সেই কারণে নববর্ষ বরণ করাই নয়, সংক্রান্তিই গণমানুষের সংস্কৃতি। ঔপনিবেশিক আমলে জমিদার ও মহাজনরা বছর শেষে পাওনা আদায় ও নতুন হিশাবের খাতা খুলবার জন্য – প্রধানত হালখাতা, টাকা আদায় ইত্যাদির প্রয়োজনে – বৈশাখ মাসের পয়লা তারিখে নতুন বছর পালন করে । হালখাতা টাকা-পয়সার ব্যবসা শুরুর অনেক আগের কথা, বিশেষ করে যখন গৃহস্থ তার উৎপন্ন দ্রব্যের কতটুকুর বিনিময়ে প্রয়োজনীয় অন্যান্য জিনিসের কতটুকু সংগ্রহ করবে তার একটা হিশাব কোন না কোন উপায়ে রাখতো; যেমন রশিতে গিট্টু দিয়ে, পাথর বা মাটির স্তুপ জমিয়ে রেখে দিতো।

এরপরে এসেছে তালের পাতায় টুকে রাখা বা তুলট কাগজের চোথা বানিয়ে ঐ কাজ সেরে নেওয়া। বর্তমানে হালখাতা তারই বিবর্তিত রূপ। এরপর যে কোন এক সময় এই হিসাব রাখার ব্যাপার কমপিউটার সফট ওয়ার হয়ে যাবে বা ইতিমধ্যে নিশ্চয় হয়ে গিয়েছে। তবুও পয়লা বৈশাখের মুল কথা হালখাতাই থেকে যেবে, কারণ তাকে আপডেট করতে হবে। ব্যবসায়ীদের পুরানা বছরের হিশেব চুকিয়ে নতুন বছরের হিশাব শুরু করার আনুষ্ঠানিক এই উদ্যোগ বাংলার সংস্কৃতির সাথে মিশে গেছে। হালখাতায় তাদের কাজকারবারের লেনদেন, বাকী বকেয়া, উসুল আদায়, সব কিছুর হিশাবনিকাশ লিখে রাখার ব্যাবস্থা করা হয়।



হালখাতার রীতি পয়লা বৈশাখে ব্যবসায়ীদের মধ্যেই গড়ে উঠেছে, কৃষি ব্যবস্থার সঙ্গে তার সম্পর্কটা পরোক্ষে — কৃষকদের কাছ হিসাবকিতাবের ব্যাপার থাকলে তার মধ্য দিয়ে। গ্রামের কৃষক এবং বিশেষ করে নারীদের মধ্যে পয়লা বৈশাখ গুরুত্বপূর্ণ নয়।  চৈত্র মাস শেষ হচ্ছে — চৈত্র সংক্রান্তিটাই বেশী গুরুত্ব পায়। এর সাথে কোন ব্যবসা জড়িত নেই বলে হয়তো বড় ধরণের কোন দৃশ্যমান আয়োজন হয় না। কিন্তু যা হয় তা অনেক গভীর ও কৃষিব্যবস্থার জন্য তাৎপর্যপূর্ণ।

বাংলার মেয়ে চৈত্র সংক্রান্তিতে শাক কুড়াতে বেরুবে। নিয়ম আছে তাকে চৌদ্দ রকম শাক কুড়াতে হবে। আবাদী নয় কিন্তু অনাবাদী, অর্থাৎ রাস্তার ধারে, ক্ষেতের আইলে, চকে আপনজালা শাক তুলতে হবে। অর্থাৎ নিজে থেকে হয়ে ওঠা শাক। ঘরের পাশে আলান পালান মাঠের আনাচে কানাচে থেকে। তার এখন খবর নিতে হবে প্রকৃতির যে অংশ অনাবাদী – যে অংশ কৃষি সংস্কৃতির সংরক্ষণ করে রাখার কথা, নইলে প্রাণের সংরক্ষণ ও বিকাশ অসম্ভব – সেই অনাবাদী প্রকৃতি ঠিক আছে কিনা। যেসব গাছপালা, প্রাণ ও প্রাণী আবাদ করতে গিয়ে আবাদী জায়গায় কৃষক তাদের দমন করেছে, উঠতে দেয় নি, থাকতে দেয় নি, তারা সব কি ঠিকঠাক আছে? চৈত্র সংক্রান্তিতে চৌদ্দ রকম শাক খাওয়া তো আসলে সব রকম গাছপালা প্রাণ ও প্রাণীর হালহকিকতের খোঁজ নেওয়া। ‘চৌদ্দ’ সংখ্যাটা এই দিক থেকে প্রতীকী। কৃষক মেয়েকে খবর নিতে হবে পুরুষ সারাবছর যে ‘চাষ’ করল তাতে অনাবাদি জাতি বা প্রজাতির হাল হকিকতের কি অবস্থা। ‘চাষ’ করারার অর্থ আবাব্দি ফসলের দিকে মনোযোগ দেওয়া, কিন্তু অনাবাদি ফসলের বিশাল ক্ষেত্র যেন তাতে নষ্ট বা কৃষ্য ব্যবস্থায় গৌণ না হয়ে পড়ে তার জন্যই চৌদ্দ রকম শাক তোলা ও খাওয়ার রীতি চালু হয়েছে। চৌদ্দ রকম শাক পাওয়ার অর্থ হচ্ছে কৃষিকাজ পরিবেশসম্মত হয়েছে , কারণ কোন অনাবাদি শাক গৃহস্থের আলালন পালান থেকে হারিয়ে যায় নি। 



বাংলার মেয়ের ব্রত – পুরুষতান্ত্রিক ধর্মের সঙ্গে যার বিরোধ চিরকালের – সেই ব্রতের উপলক্ষ্য প্রকৃতি। কোন দৈব কর্তাসত্তা নয় – বরং সৃষ্টির প্রক্রিয়া অব্যাহত রাখা ও তার বিকাশ নিশ্চিত করাই তার কাজ। চৈত্র সংক্রান্তি সেই দিক থেকে নারীর জন্যে অসাধারণ তাৎপর্যপূর্ণ। প্রকৃতি তার প্রাণের ব্যবস্থাপনা অক্ষূণ্ণ রাখতে পারছে কিনা চৈত্র সংক্রান্তির দিন সেই হিসাব নিতে বেরোয় বাংলার মেয়েরা। চৈত সংক্রান্তি এরি দিক থেকে একান্তই নারীমূলক, এর সঙ্গে প্রক্রিতির পুন্রুৎপাদনের সম্ভাবনা বিচার খুবই গুরুত্বপূর্ণ স্থানীয় জ্ঞান চর্চার ধারা হিসাবে গড়ে ওঠে। চৈত্র সংক্রান্তির মানে তাই প্রাণ ও প্রাণবৈচিত্র্য উদযাপনের ধারা অনুসন্ধান করা।  চৈত্র সংক্রান্তি পালনের মধ্যে আমরা যেন বাংলার জ্ঞান ও সংস্কৃতি চর্চার ধারা শনাক্ত ও তার  রক্ষা সুনিশ্চিত করতে পারি, সেটাই বড় একটা চ্যালেঞ্জ।

ইংরেজী ধারণা থেকে বছর গুনতে গিয়ে বাংলার ভাবগত জায়গা থেকে বছর আর ঋতুর প্রবল পার্থক্য আমরা ধরতে পারি না। বাংলার ঋতু ফিরে ফিরে আসে। প্রত্যাবর্তনের চক্র, একই ঋতুর বার বার আবির্ভাব। ‘সংক্রান্তি’ তাই খুব গুরুত্বপূর্ণ ধারণা। পরিবর্তনের। সংক্রান্তির ধারণায় নতুন মানেই ভাল আর পুরানা মানে সব খারাপ, গ্লানিময়  বা জীর্ণ — এই দাবি করে না।  সংক্রান্তি চাষাবাদের ক্ষেত্রে আমরা ঠকচর্চা করেছি কিনা তার বিচার-বিবেচনার মুহূর্ত – ভালমন্দ বাছাইয়ের দিন। নতুন বছর পালন করতে গিয়ে আমরা  প্রকৃতি সুরক্ষা ও পুন্রুৎপাদনের রীতি ও তার  ইতিহাস যেন হারিয়ে না ফেলি।



বিভিন্ন মাসে বিভিন্ন সংক্রান্তি রয়েছে। যেমন পৌষ সংক্রান্তি। পৌষে কৃষকের ঘরে নতুন ধান এসেছে, পিঠা পায়েশ তৈরি হবে, সবাই মিলে আনন্দ করে খাবে। গ্রামের কৃষক, বিশেষ করে নারীরা কখনোই প্রকৃতিকে ভুলে কোন কাজ করে না। তারা পিঠা বানিয়ে নিজে খাবার আগে পশু-পাখিকে খাওয়াবে, তারপর খাবে।এমন কি ভুত-প্রেত থাকলে তারাও বাদ যাবে না। অন্যান্য সংক্রান্তির মধ্যে চৈত্র মাসের সংক্রান্তির ভাব বেশ আলাদা। চৈত্র মাস মানে গরমে্র দাবদাহ। সংক্রান্তির মধ্য দিয়ে সেটা শেষ হবে। আশা করা হচ্ছে,এই সংক্রান্তির সাথেই সূর্যের শেষ দাবদাহ বিদায় নিচ্ছে এবং আসছে বৈশাখ আর ওর সঙ্গে হাত ধরে মেঘ আর জল। জমিতে জো আসবে এখন, কৃষক নতুন আমন ধান লাগাবার জন্য তৈরি হবে। আর মেয়েদের কাজ? সে তো অনেক।



চৈত্র মাসে চৈতালী ফসল উঠে গিয়ে পুরা মাঠই শুকনা খর খরে হয়ে যেতে পারে। এই সময় প্রকৃতিতে কি কি খাদ্য মানুষের জন্য এবং অন্য প্রাণীর জন্য থাকে তা জানা দরকার। চৈত্র মাস এমন এক সময়ের মাঝামাঝি, যখন আগের ফসল প্রায় সব উঠে গেছে, মাঠে আবাদী ফসল খুব একটা নেই, তাহলে খাদ্যের যোগান হবে কোথা থেকে? তাই সবকাজের সেরা কাজ হচ্ছে চৈত্র সংক্রান্তিতে প্রকৃতির খোঁজ খবর নেওয়া।



চৈত্রসংক্রান্তির খাদ্য তালিকায় কোন মাছ-মাংস, থাকবে না, তবে ডাল বা অন্যান্য আমিষ জাতীয় খাবার থাকতে পারে। চৌদ্দ প্রকার শাকের মিশাল কিংবা আলাদা করে কোন আবাদী সব্জি যেমন মিষ্টি কুমড়ার সাথে রান্না হলে ক্ষতি নেই। সবচেয়ে গুরুত্বপুর্ণ হচ্ছে গিমা শাক খাওয়া, গিমা না পেলে কোন এক তিতা শাক যেমন তিতা পাট শাক থাকতেই হবে। গিমা শাক বাড়ীর আশে পাশে, পুকুর পাড়ে, জমিতে কিংবা রাস্তার ধারেও পাওয়া যায়। এটা লতা জাতীয়, পাতা ছিড়েও আনা কঠিন তাই লতার অংশ নিয়ে এসে বাড়ীতে পাতা বেছে নিয়ে রান্না করা হয়। গিমার তিতা খেতে কষ্ট হবে বলে কেউ তার সাথে বেগুন কিংবা আলু মিশিয়ে রান্না করে। আর যারা অবস্থাপন্ন তারা ঘি দিয়ে গিমা রান্না করে।গিমা একবার খেতে পারলে পরে মুখটা মিষ্টি হয়ে থাকে। সাথে যবের ছাতু, দই, কাঁচা আমের শরবত।



চৌদ্দ রকম শাকের মধ্যে থাকে হেলেঞ্চা, ঢেকি, সেঞ্চি, কচু, থানকুনি, তেলাকুচা, নটে শাক, গিমা, খারকোন, বতুয়া, দন্ডকলস, নুনিয়া, শুশ্নি, হাগড়া, পাট, (লাঊ ও মিষ্টি কুমড়া ক্ষেত থেকে পাতা তুলে আনা যায়), সাজনা ইত্যাদী। উবিনীগের একটি গবেষণায় (বইয়ের নামঃ আমাদের কুড়ীয়ে পাওয়া শাক) দেখা গেছে, এই সব শাক কুড়াতে মেয়েরা ১ থেকে ২ কিমি পথ দূর থেকেও নিয়ে আসেন । এবং তারা খুব খুশি হন যদি এই দুরত্বের মধ্যে অন্তত চৌদ্দ রকমের কূড়িয়ে নিয়ে আসতে পারেন। তখন তাঁরা বলবেন এখানকার পরিবেশ ভাল আছে। এই শাকগুলো কোনটা বাড়ীর আশে পাশে, এমন কি খাল, পুকুর ডোবার ধারেও পাওয়া যায়।



প্রকৃতির মধ্যে বদল ঘটছে অনেক, তাই চৈত্র মাসের দাবদাহ দীর্ঘায়িতও হতে পারে কিংবা হতে পারে সংক্ষিপ্ত। এই কথার আন্তর্জাতিক নাম হচ্ছে জলবায়ু পরিবর্তন। কিন্তু বলাই যথেষ্ট নয়, কারণ আমাদের দেশের কৃ্ষি নীতিও এই ধরণের কুড়িয়ে পাওয়া সুস্বাদু শাকের প্রাপ্যতা নষ্ট করছে। আধুনিক কৃষি আবাদি ফসলের উৎপাদন বাড়ানো্র কথা বলে, আর তার সাথে যা অনাবাদী হয়ে গড়ে ওঠে তাকে বলা হয় আগাছা। অথচ চৈত্র্য সংক্রান্তি আসলে বোঝা যায় এগুলো পাওয়া না যাওয়ার অর্থ হচ্ছে আমাদের প্রকৃতিতে গড়বড় হয়ে গেছে, একে ঠিক করতে হবে। নারীরা তাই এক থেকে দুই কিলোমিটার দুরত্ব পাড়ি দিয়ে এর যাচাই করে দিচ্ছেন।



চৈত্র সংক্রান্তি মধ্যবিত্তের কাছে আকর্ষণীয় না হতে পারে কারণ এটা ‘নিরামিষ’, অর্থাৎ আমিষ বর্জিত। ডিম, মাছ, মাংস কিছুই থাকবে না। কিন্তু যদি এর মর্ম জানা যায় তাহলে চৈত্র সংক্রান্তির খাদ্য তালিকা দেখে প্রকৃতি ও গাছ সম্পর্কে জেনে সকলে আনন্দ পাবেন। কারণ গাছই প্রকৃতির একমাত্র ‘উৎপাদক’ – সূর্যের আলো দিয়া সবুজ গাছপালাই রান্না সারতে জানে। আর অন্যেরা গাছ খেয়ে, কিম্বা গাছ খেয়ে যারা বাঁচে তাদের খেয়ে জীবন ধারণ করে। ধন্য সবুজ। সেই জন্যই নিরামিষ।

চৈত্রসংক্রান্তি প্রাণ রক্ষার শপথের দিন। এই দিন বাংলার মেয়েরা প্রাণ ও প্রকৃতি রক্ষার জন্য নানান ব্রত ও নিজের “নিয়ত” বা “মানত” পালন করে।

পয়লা বৈশাখে একদিনের পান্তা-ইলিশ প্রকৃতি নির্ভর নয়। এই সময় ইলিশ ধরা বা খাওয়াও সঠিক সময় নয়, তবুও হাজার টাকায় বিক্রি হচ্ছে।অন্যদিকে গ্রামের নারী দুই কিলোমিটার দুরত্ব অতিক্রম সেই শাক খুঁজে এনে রাঁধছে যা দিয়ে প্রাকৃতিক পরিবেশ ঠিক আছে কিনা জানা যাবে (অনেক জায়গাতেই ১৪ রকমের শাক পাওয়া যাবে না) অন্য দিকে গিমার মতো তিতা শাক খাইয়ে পরিবারের মানুষের রোগ প্রতিরোধের কাজ করছে। বাচ্চাদের রাক্ষসের গল্প বলে ভুলিয়ে-ভালিয়ে তেতো শাকটি মা খাইয়ে দিচ্ছে!

পয়লা বৈশাখের শুভেচ্ছে রইলো। পাশাপাশি আবেদন রইলো প্রকৃতি রক্ষা করে নিজেদের এবং পশুপাখী সকলের খাবার নিশ্চিত করার পরিবেশ তৈরী করুন।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *